আওয়ামী লীগ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ২১:১৩
আওয়ামী লীগ সমাজকে বিভাজিত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
শনিবার শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলা বিএনপির কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সমাজকে বিভাজিত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুর্গাপূজা চলাকালে পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর তার প্রমাণ। পূজামণ্ডপে হামলা করলো আওয়ামী লীগ, মামলা করছে নিরীহ বিএনপি নেতাদের নামে। এমনকি ৬ মাস ধরে কারাগারে আটক বিএনপি নেতাদের নামেও ওই হামলার মিথ্যা মামলা দিয়েছে। মিথ্যাচার ও দমন-নিপীড়ন, গায়েবী মামলায় গিনিস বুকে যদি কারো নাম উঠে তাহলে আওয়ামী লীগের নাম থাকবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা কথায় কথায় উন্নয়ন, অর্জন ও সাফল্যের কথা বলে উল্লেখ করে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, এতই যদি উন্নয়ন, সাফল্য হয়ে থাকে তাহলে গণতন্ত্র ও রাজনীতি উন্মুক্ত করে পদত্যাগ পূর্বক নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন না কেন? আসলে তাদের কোনো অর্জন বা সাফল্য নাই।
তিনি বলেন, গত এক যুগে আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার হরণ, নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস, দমন-নিপীড়ন, দুর্নীতি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করেছে। তারা মুখে যে কথা বলে, কাজে অন্যটা করে। আওয়ামী লীগ অপকর্ম করে তার দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করে।
কর্মীসভায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ঝিনাইগাতি উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। আগামী ২ দিনের মধ্যে জেলা কমিটি ঝিনাইগাতি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করবে। এই কমিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন শেষ করে ২০ নভেম্বরের মধ্যে ঝিনাইগাতি উপজেলা বিএনপির সম্মেলন সম্পন্ন করবে।
দেশব্যাপী বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে ডা.সিরাজুল হক কারিগরী কলেজে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুছ ছালাম সভাপতিত্ব করেন। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন, বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ পলাশ, আবু রায়হান পলাশ, ঝিনাইগাতি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান আকন্দ প্রমুখ।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/ওয়াইএ
