ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনে যাবে বিএনপি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:৩৭

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনে যাবে বিএনপি

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি খুব শিগগিরই রাজপথের আন্দোলনে যাবে বলে সরকারের প্রতি হুঁশিরারি উচ্চারণ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিপুন রায় চৌধুরীসহ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সাম্প্রদায়িক উষ্কানীদাতা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আব্দুস সালামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে’ এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি- আমরা খুব শিগগিরই এব্যাপারে আন্দোলনে যাবো। রাজপথে আসবো। আর আমরা দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিসহ সবাই কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, আসুন আমরা সবাই মিলে সাধারণ ও গরীব মানুষকে রক্ষা করার জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধের আন্দোলন করি।

‘এই আন্দোলন আমাদের জন্য খুবই দরকার। মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। আর মানুষের কষ্ট দূর করাই রাজনৈতিক সংগঠনের দায়িত্ব। ক্ষমতায় যাওয়া আসা যাওয়ার কিছু যায় আসে না। এদেশ কোটি কোটি বছর থাকবে। আমাদের দল কোটি কোটি বছর থাকবে। লক্ষ লক্ষ বার আমরা ক্ষমতায় আসবো। আবার লক্ষ লক্ষ বার হয়তো পরাজিতও হবো। এতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু জনগণের স্বার্থ রক্ষায় দায়িত্বটা আমাদেরকে পালন করতে হবে।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়া আজকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ হয়ে আছেন এবং তিনি অসুস্থ। তাকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে আমাদের মাঝে নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া এর কোনটাই সম্ভব হবে না। আর সেই কারণেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার করার যে লড়াই, সেই লড়াই জোরদার ও বেগবান করার জন্য আমরা এদেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক সংগঠন, ব্যক্তিসহ সবার কাছে অনুরোধ করছি, আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এবং যার যার অবস্থান থেকে কিংবা একযোগে আমরা এই অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি। আন্দোলনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করি।

বর্তমান ক্ষমতাসীনরা নিজেদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এখনো আছে। দেশের সংবিধান নিয়ে এরকম রসিকতা বিশ্বের আর কোন দেশে হয় কি না- তা আমার জানা নাই। একই সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম আবার মূলনীতি হলো ধর্মনিরপেক্ষতা! একই সংবিধানে মূলনীতি সমাজতন্ত্র কিন্তু বাস্তবায়ন করা হয় মুক্ত বাজার অর্থনীতি! আর এসব কারণেই আজকে যারা ক্ষমতাসীন তাদের খুব আপন মানুষ হচ্ছেন একজন, এই সরকারের পক্ষ থেকে একটা ব্যাংকের চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবুল বারকাত।

‘তার লেখা বইতে আছে, এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের যতো সম্পত্তি দখল করা হয়েছে- তার শত করা ৬০ ভাগেরও বেশি দখল করা করেছে শুধুই আওয়ামী লীগ। আর সেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, তার এক থানার ওসি একজন অ্যাডভোকেট, একজন রাজনৈতিক নেত্রী, আমাদের মেয়ে নিপুন রায় চৌধুরীকে বলেন মালাউন! কি করে সাহস পায় এটা? এরপরও কেনো সরকার কোন ব্যবস্থা নেয় না। তার কারণ হলো, এই সরকার জনগণের সমর্থনে টিকে নাই। এই সরকার টিকে আছে প্রশাসন ও পুলিশ দিয়ে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে না।’

নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত