ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

জান-মালের ক্ষতি করলে তো নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে না

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৫৪  
আপডেট :
 ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:২৭

জান-মালের ক্ষতি করলে তো নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে না
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সংগৃহীত ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি যদি এখনও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আপনারা ভাঙচুর করবেন, জানমালের ক্ষতি করবেন, আহত করবেন তখন তো নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে না। তাদের কাজই তো প্রটেকশন দেয়া।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে যান স্বরাষ্টমন্ত্রী। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে সেটা আমরা মনে করি না। পরিস্থিতি সবসময় আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের (বিএনপি) শুভবুদ্ধির উদয় হোক, একঘেয়েমি ছেড়ে হয় তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসুক। বিরাট সমাবেশ করুক, আমরাও দেখি, দেশবাসীও দেখবে। নয়ত কালশী মাঠে যাক। সেখানে পুলিশ তাদের সহায়তা করবে। এরপরও আলোচনা হতে পারে। তারা আসুক ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বসুক।

এসময় সাংবাদিকরা পুলিশের অ্যাকশনে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকর্মীরা পুলিশের ওপর মারমুখী ছিল। তারা ঢিল ও ইটপাটকেল ছুড়েছিল। সেটি মোকাবিলা করতে গিয়ে আহত হন পুলিশ সদস্যরা। ৪৭ জন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে এসেছিলেন। অস্ত্র, গজারি লাঠি দিয়ে পুলিশ বাহিনীকে আহত করে বিএনপি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি বিভিন্ন বিভাগে-জেলায় সমাবেশ করেছে। তাদের যা বলার মন খুলে বলেছে। আমরা বাধা দেইনি। এখন তারা ঢাকায় যে স্থানে সমাবেশ করতে চাইছে, সেখানে বড় জমায়েত করার সুযোগ নেই। তাই বিকল্প চিন্তা করতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকায় ২৫ লাখ লোক জমায়েতের বার্তা দিয়েছিল বিএনপি। তারা প্রথম সোহরাওয়ার্দী, মানিক মিয়া এভিনিউ ও নয়াপল্টন চেয়েছিল।

রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সংগৃহীত ছবি

একগুঁয়েমি ছেড়ে বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এমনটাই আশা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা সোহরাওয়ার্দী কিংবা কালশীতে সমাবেশ করুক। কিংবা অন্য কোনো বিকল্প থাকলে সেটা পুলিশ কমিশনারকে বলুক। তাদের পুরোপুরি সহযোগিতা করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

আরো পড়ুন: পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ: তিন মামলায় আসামি ২ হাজারের বেশি

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত