ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

আগের দুই শর্তেই সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়তে পারে খালেদা জিয়ার

  নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩২

আগের দুই শর্তেই সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়তে পারে খালেদা জিয়ার
ফাইল ছবি।

আগের দুই শর্তেই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের আদেশ বাড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করানোর সুযোগ দেয়া হয়েছে। আগের দুই শর্তেই বেগম জিয়ার সাজা স্থগিতের আদেশ বাড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানান মন্ত্রী।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশ বলে একবার সাজা নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। তাই বলা যেতে পারে আবেদনে যাই থাকুক না কেন, আগের দুই শর্তেই সাজা স্থগিত হবে। এর বাইরে আর কিছু করার নাই।

আনিসুল হক বলেন, বহুবার আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছি ৪০১ ধারায় বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হবে না। সরকার প্রধান একবার নির্বাহী আদেশে নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। এর বাইরে তিনি কিছু করতে পারবে না। মানবিক কারণে বা অন্য যেকোনো কারণেই হোক, আইনের মধ্যে থেকেই তাকে নিষ্পত্তি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে এই চিঠিতেও তারা আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি চাচ্ছেন। আমি বুঝলাম না স্থায়ী মুক্তি মানে কী? এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি চাচ্ছেন। আবেদনের ফাইলটা আজকে আমি পেয়েছি। ওনারা (খালেদার পরিবার) কী আবেদন করেছেন, সেটা দেখে ভালো করে বিবেচনা করে আমি অতিসত্ত্বর নিষ্পত্তি করবো। আগামীকাল (মঙ্গলবার) নাগাদ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

আবেদনে বলা হয়েছে, ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভার সিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরইমধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ অগাস্ট এভারকেয়ারে ভর্তি হওয়ার পর টানা ৫ মাস সেখানেই ছিলেন খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ করে দিতে বিএনপির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়। সরকার রাজি না হওয়ার পর বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ একটি দল ঢাকায় এসে তার চিকিৎসা করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত