ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভোট ভিক্ষা চাইলেন নাজমুল হুদা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:২০

ভোট ভিক্ষা চাইলেন নাজমুল হুদা

ঢাকা-১৭ আসনের ভোটারদের কাছে শেষবারের মতো ভোট ভিক্ষা চাইলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এই আসন থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

তিনি বলেন, ‘এটা আমার ফাইনাল টার্ম। শেষ সময়ে এসে আমাকে সাহায্য করেন। হয়তো এরপর আর সুযোগ পাব না। শারীরিক কারণেই তখন ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইতেও পারব না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপনাদের ভোট ভিক্ষা চাইতে এসেছি। নির্বাচিত হলে আপনাদের দেওয়া আমার সব প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করব।’

মঙ্গলবার রাতে গুলশানের কালাচাঁদপুরে নয়ানগর খ্রিস্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন মিলনায়তনে নির্বাচনি গণসংযোগে তিনি এসব কথা বলেন।

নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমার মার্কা সিংহ। ধানের শীষ ও নৌকার বাইরেও যে কোনো মার্কা আছে, একসময় জনগণ তা মনে করত না। আগে মার্কার ওপর কলাগাছ দাঁড়ালেও ভোট দেওয়া হতো। কিন্তু এখন জনগণ বদলে গেছে। আমি আপনাদের ভোট চাই।’

তিনি বলেন, দেশে এখন সহিংসতা বেড়ে গেছে। এখন সংঘাতপূর্ণ রাজনীতি। প্রতিটি ক্ষেত্রে পাল্টাপাল্টি হচ্ছে। তুমি আমার প্রতিপক্ষ, তুমি যা করো তাই খারাপ— এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। একে অন্যকে সহ্য করতে না পারার কারণেই দেশ এখনও পিছিয়ে আছে।

বিএনপির সাবেক এই নেতা ও সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে জেতার জন্য যত ধরনের অপরাজনীতি আছে, তাই করা হয়। তবে পাল্টাপাল্টি রাজনীতি এখন আর গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের লক্ষ্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা, মানবাধিকার সমুন্নত রেখে সমাজ নির্মাণ করা।’

উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। দলটির সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্যও হন। বিএনপি সরকারের আমলে তিনি তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ সালে দলটি থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। পরে অবশ্য দলের সদস্যপদ ফিরিয়েও দেওয়া হয়। ২০১২ সালে তিনি নিজেই বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর বিএনএফ দল গড়ার পর সেই দল থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তৃণমূল বিএনপি নামে রাজনৈতিক দল গড়ে তোলেন তিনি। তবে তার দলের নিবন্ধন না থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত