ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি টাকার মামলা

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২১, ১৮:২৪

বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি টাকার মামলা

করোনার প্রকোপে মাঝপথেই আইপিএল বন্ধ করে দিতে হয়েছে বিসিসিআই ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে। কেকেআর, সিএসকে, দিল্লি ক্যাপিটালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ক্রিকেটার ও সাপোর্টিং স্টাফরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আইপিএল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হল সৌরভ গাঙ্গুলীর বোর্ড। যা বিশাল ধাক্কা বিসিসিআইয়ের কাছে। এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের সমস্যা আরও বাড়িয়ে ১০০০ কোটি টাকার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল মুম্বাই হাই কোর্টে।

ভারতজুড়ে করোনাভাইরাস অগনিত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিলেও, বিসিসিআই কর্তারা নিজের সুবিধার জন্য চোখ-কান বন্ধ করে ‘অহংকারী মানসিকতা’ দেখিয়ে আইপিএল চালিয়েছে। এই মর্মে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই জনস্বার্থ মামলার নথিপত্রে আরো বলা হয়েছে, বিসিসিআই যেন এ হাজার কোটি টাকা কোভিড আক্রান্ত মানুষদের অক্সিজেন এবং ওষুধের জন্য ব্যয় করে তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা পর আইনজীবী বন্দনা শাহ বলেন, ‘বিসিসিআই কর্তারা ভীষণ অহংকারী। তাই তো দেশে করোনার গ্রাসে একাধিক পরিবার শেষ হয়ে গেলেও বোর্ড কর্তারা সেই দিকে নজর দেয়নি। বরং চোখ-কান বন্ধ করে আইপিএল চালিয়ে গিয়েছেন। এটা মানবিকতার পরিপন্থী। দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি বোর্ড কর্তাদের নুন্যতম দায়িত্ব থাকলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। এক হাজার টাকা কোভিড আক্রান্ত মানুষদের অক্সিজেন এবং ওষুধের জন্য ব্যয় করে তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’

মঙ্গলবার সকালের দিকে আইপিএল এ বারের মতো স্থগিত করে দেয়া হলেও, সৌরভের বোর্ড কিন্তু প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার একটা শেষ চেষ্টা করেছিল। মুম্বাইতে আইপিএলের সব ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে একদিনে ‘ডাবল হেডার’ করিয়ে দ্রুত শেষ করতে চেয়েছিল বিসিসিআই। কর্তাদের ধারণা ছিল যে ওয়াংখেড়ে, সিসিআই (ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া) এবং ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে বাকি খেলাগুলো আয়োজন করে ফেলা যাবে। যদিও ঋদ্ধিমান সাহা ও অমিত মিশ্র-র খবরটা দাবানলের মতো ছড়িয়ে যেতেই মত বদলে ফেলেন সৌরভ।

সেটা নিয়েও কিন্তু আইনজীবী বন্দনা শাহ আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের অনান্য রাজ্যের মতো মুম্বাই ও মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তবুও এখানকার মানুষের আবেগ না বুঝতে পেরে বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করতে চেয়েছিল। এতেই বোঝা যায় ওরা সবাই চোখ-কান বন্ধ করে রাখা অহংকারী মানুষ। ক্রিকেট আমিও পছন্দ করি। কিন্তু দেশে অগনিত মানুষ মারা গেলে ক্রিকেট খেলা কিংবা দেখার অবস্থা থাকে না। এটা তো বোঝা উচিত।’

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত