ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

সেরা হওয়ার লড়াইয়ে রাতে মুখোমুখি ইতালি-ইংল্যান্ড

  খেলা ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২১, ২২:৩৪

সেরা হওয়ার লড়াইয়ে রাতে মুখোমুখি ইতালি-ইংল্যান্ড
সংগৃহীত ছবি

ইউরোপিয়ান ফুটবলের দুই সুপার পাওয়ার ইতালি এবং ইংল্যান্ড ইউরো কাপের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে রাতে মুখোমুখি হচ্ছে। নিজেদের উইম্বলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হবে মহারণ। ইংল্যান্ড নিজেদের মাঠে ট্রফি জেতার এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না। সবচেয়ে বড় কথা তারা কখনই ইউরো জিততে পারেনি এবং ৫৫ বছরে জিতেনি কোন ট্রফি।

মনে করা হচ্ছে উইম্বলির দর্শকদের সামনে খেলা হবে বিধায় ইংল্যান্ড দল বাড়তি সুবিধা পাবে। তবে অনেকেই মনে করছেন এটা ইংল্যান্ড দলের উপর বাড়তি চাপও সৃষ্টি করতে পারে। তাদের মধ্যে প্রত্যাশার চাপ ইংলিশ খেলোয়াড়দের স্বাভাবিক খেলার পথে বাধা হতে পারে। ইতালির অধিনায়ক কিয়েলিনি জানান তার বয়স এখন ৩৬ বছর এবং তিনি জানেন কিভাবে এমন কঠিন ম্যাচে খেলতে হয়।

ইংল্যান্ড দল ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জেতার পর আর কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালেও উঠতে পারেনি। ইতালি বিশ্বকাপই জিতেছে চার বার। এর মধ্যে শেষবার তারা জিতেছে ২০০৬ সালে। তখন কিয়েলিনি জাতীয় দলে থাকলেও খেলেননি কোন ম্যাচ। ইউরো ফুটবলে ইতালির রেকর্ডও খুব ভাল না। তারা ১৯৬৮ সালের পর আর ট্রফি জিততে পারেনি। যদিও তারা ২০০০ এবং ২০১২ সালে ফাইনালে উঠেছিল কিন্তু শিরোপা জিততে পারেনি।

ইংল্যান্ড দল যখন বিশ্বকাপ জয় করে তখন বর্তমান দলের কেউই জন্মগ্রহণ করেননি, এমনকি কোচ সাউথগেটও নন। ১৯৯৬ সালের ইউরোতে সাউথগেটের পেনাল্টি মিসের কারণেই তারা সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল। এবার যদি তার দল জিততে পারে তাহলে সেই পাপ মোচন হবে। ইতালি ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এরপরই কোচ পরিবর্তন করে দায়িত্ব দেয়া হয় ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক কোচ রবার্তো মানচিনিকে। তার অধীনে দলটি দারুন খেলছে। তারা সর্বশেষ ৩১টি ম্যাচে আছে অপরাজিত। কিয়েলিনি বলেন, শুরুতে তিনি যখন বলেছিলেন ইউরো জেতার জন্য আমাদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে তখন ভেবেছিলাম কি ছেলে মানুষি কথা। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি তিনি কতটা গভীরভাবে দলকে গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। ইউরোর ফাইনালে ওঠার পথে ছয় ম্যাচ খেলেছে তারা এবং এতে গোল খেয়েছে মাত্র একটি।

এমন একটি দলের বিপক্ষে গোল করা হ্যারি কেইন এবং রাহিম স্টার্লিংয়ের জন্য বেশ কঠিনই হবে। অবশ্য ইংল্যান্ড দল দারুন উজ্জীবিত ফুটবল খেলছে। তাই কেবল কেইনের উপর নজর রাখলেই চলবে না। পুরো ম্যাচে প্রতিটি খেলোয়াড়ের উপরই রাখতে হবে বিশেষ নজর। এরপর যারা প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে তারাই শেষ হাসি হাসবে। তাই অপেক্ষা করতে হবে শিরোপা কোথায় যাবে রোমে না হোমে (ইংল্যান্ডে) তা দেখার জন্য।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএইচ/আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত