ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

রোমাঞ্চকর জয় কুমিল্লার

রোমাঞ্চকর জয় কুমিল্লার

শেষ ওভার, উইকেটে থিসারা পেরেরা ও সাইফউদ্দিন, হাতে ৩ উইকেট, জয়ের জন্য কুমিল্লার দরকার ৮ রান। খুলনার কার্লোস ব্রাথওয়েটের করা সেই ওভারে এক চার ও এক ছক্কায় দলকে জয়ের আনন্দে ভাসালেন লঙ্কান অলরাউন্ডার পেরারা।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরে টাইটান্সের মুখোমুখি হয়ে নিজেদের চতুর্থ জয়ের দেখা পেল তামিম-ইমরুলদের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুক্রবার আসরের ২০তম ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে তারা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান তোলে খুলনা টাইটান্স। জবাবে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা (১৮৬/৭)।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক। দু’জন মিলে ১১৫ রানের জুটি গড়েন। তবে সেই জুটি ভেঙ্গে দেন লাসিথ মালিঙ্গা। তার করা বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪২ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল। এরপর মাহমুদউল্লাহ’র বলে শান্ত’র হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৭ বলে ৫ চারে ৪০ রান করা এনামুল হক। ২ রানের ব্যবধানে রানআউট হয়ে ফেরেন ১ রান করা শামসুর রহমান।

তবে এরপর লিয়াম ডসনকে সঙ্গী করে ব্যাটে ঝড় তোলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তবে দলীয় ১৫৩ রানে ব্যক্তিগত ৪ রানে ফেরেন ডসন। আর দলের রান যোগ হওয়ার আগেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরুল কায়েস। আউট হয়ে ফেরার আগে ১১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

এরপর থিসারা পেরারাকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন শহীদ আফ্রিদি। তবে দলীয় ১৬৯ রানে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১২ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার। পাঁচ রানের ব্যবধানে শূণ্য হাতে ফেরেন জিয়াউর রহমান। এরপর সাইফউদ্দিনকে সঙ্গে করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন পেরেরা।

খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন জুনায়েদ খান। আর একটি করে উইকেট নেন লাসিথ মালিঙ্গা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২ রানেই শূন্য হাতে ফেরেন খুলনার ওপেনার জহুরুল ইসলাম। তবে এরপর আল আমিনকে সঙ্গে করে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী। দু’জন মিলে জুটি গড়েন ৭১ রানের। তবে সেই জুটি ভেঙ্গে দেন স্পিনার শহীদ আফ্রিদি। বল হাতে নিজের ওভারের প্রথম বলেই তিনি ফেরান ১৯ বলে ৩২ রান করা আল আমিনকে।

এরপর ব্যাটিংয়ে এসে দলীয় ৯৫ রানে ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে একদিক থেকে ব্যাট চালিয়ে গেছেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। কিন্তু দলীয় ১৪৫ রানে রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ফেরার আগে ৪১ বলে ৪ বাউন্ডারি ও চার ছক্কায় ৭০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।

শেষ দিকে ডেভিড মালান ২৯, কার্লোস ব্রাথওয়েইট ১২ ও আরিফুল হকের ১৩ রানে ভর করে খুলনার দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮১ রান।

কুমিল্লার হয়ে চার ওভারে ৩৫ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন শহীদ আফ্রিদি। এছাড়াও একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং ওয়াহাব রিয়াজ।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স একাদশ:

এনামুল হক (উইকেটরক্ষক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), থিসারা পেরেরা, শামসুর রহমান, শহীদ আফ্রিদি, লিয়াম ডসন, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান ও জিয়াউর রহমান।

খুলনা টাইটান্স একাদশ:

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), জুনায়েদ সিদ্দিকী, ডেভিড মালান, নাজমুল ইসলাম শান্ত, জহুরুল ইসলাম, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, আল আমিন, আরিফুল হক, তাইজুল ইসলাম, লাসিথ মালিঙ্গা ও জুনায়েদ খান।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত