দুইবার জীবন পাওয়া বাবরকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০১৯, ১৭:৪৮
আগের ওভারে বাবর আজমের ক্যাচ ফেলেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। পরের ওভারে বল হাতে দায়মোচনের একটা সুযোগ পেয়েছিলেন মোসাদ্দেক। তবে এবার ক্যাচ নিতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। অফ স্পিনারের বলে বাবরের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা বল লাগে উইকেটকিপারের হাঁটুতে। তখন ৬৫ রানে ছিলেন বাবর। এরপর ১৫৭ রানের জুটি গড়েন ইমাম উল হক এবং বাবর আজম।
অবশেষে সেই ডেঞ্জারম্যান বাবরকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন। এটি সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার। দলীয় ১৮০ রানে সাইফের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। সাজঘরে ফেরার আগে বাবর ৯৮ বলে ১১টি চারের সাহায্যে করেন ৯৬ রান। পাকিস্তানের হয়ে এক আসরে সর্বোচ্চ রান বাবর আজমের।
এর আগে ইনিংসের শুরু থেকেই আঁটসাঁট বোলিং দিয়ে আক্রমণে বাংলাদেশ। এক পাশে মিরাজ আরেক পাশে সাইফউদ্দিনে হিমশিম খাচ্ছিল পাকিস্তানের ওপেনাররা। দলীয় ২৩ রানে সাইফউদ্দিনের বোলিংয়ে মিরাজের ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন ফখর জামান। ৩১ বলে ১৩ রান তার।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৪ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৯৪ রান। ক্রিজে আছেন হাফিজ ও ইমাম।
এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মঞ্চে অধিনায়ক হিসেবে শেষ টস করেছেন মাশরাফি।
ভারতের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন আগেই ভেঙে গেছে বাংলাদেশের। নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় নিয়ে ফেরার আশায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। এই ম্যাচ জিতলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে ওঠে আসবে মাশরাফির দল।
কাগজে-কলমে পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত নয়। তবে, পুরোপুরি অসম্ভব একটি সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। এমন ম্যাচে মাশরাফির সঙ্গে টস করতে নেমে জিতলেন সরফরাজ আহমেদ এবং টস জিতে ব্যাটিংয়েরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
যদি সরফরাজ টস হেরে যেতেন, তাহলে মাঠে নামার আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেত পাকিস্তানের। তবে ভাগ্য ভালো, টস হারতে হয়নি। জিতেই তারা এখনও টিকে রইলো।
বাংলাদেশ একাদশ:
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, লিটন দাশ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাইফউদ্দিন আহমেদ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, ও মোস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান একাদশ:
ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), ইমাদ ওয়াসিম, ওহাব রিয়াজ, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির ও শাহিন আফ্রিদি।