ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

শেকলে বাঁধা তৌফিকের পাশে উপজেলা প্রশাসন

  মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ১০:০৪

শেকলে বাঁধা তৌফিকের পাশে উপজেলা প্রশাসন

চার বছর ধরে শেকলে বাঁধা সেই তৌফিক মিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তৌফিকের বাড়িতে যান কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার নুরুল মাহমুদ।

এ সময় শেকলে বন্ধি তৌফিকের ভাইয়ের হাতে তুলে দেন প্রতিবন্ধী ভাতার বই ও নগদ ৫ হাজার টাকা সাথে তার পরিবারের খবরা-খবর নেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

উপজেলা পরিষদ থেকে এই অসহায় পরিবারের প্রতি সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আব্দুল আহাদ ও এম এ কাইয়ুমসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

‘কুলাউড়ায় ৪ বছর থেকে শেকলে বাঁধা তৌফিক মিয়ার জীবন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সংবাদটি প্রকাশের পর দেশ ও প্রবাসে অবস্থানরত বিভিন্ন ব্যক্তি তৌফিক মিয়ার চিকিৎসা ও তার অসহায় পরিবারের প্রতি আর্থিক সহযোগীতা করেছেন।

প্রসঙ্গত, ইউনিয়নের দক্ষিণ গিয়াসনগর এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত ক্বারী রমিজ উদ্দিন ওরফে ‘রমিজ ক্বারীর’ জীবিত দু’ছেলের মধ্যে তৌফিক মিয়া ছোট। বড় ছেলে মশাহিদ আলী ওরফে আয়না মিয়া। তিনি জানান, ৪ বছর আগে তাদের পিতা মারা যাবার পর ছোট ভাই তৌফিক মিয়া পুরোপুরি পাগল হয়ে যায়। নিজের সামর্থ্য ও পার্শ্ববর্তীদের সাহায্যে ছোট ভাইকে অনেক ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়েছেন। কিন্তু টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করে ভাইকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি। আশপাশ মানুষের ক্ষতি করতে পারে এই আশঙ্কায় তাকে শিকলবন্দি করে ঘরে রেখেছেন।

শেকলে বাঁধা তৌফিক মিয়ার ফেল ফেল চাহনি যেন সুস্থ হয়ে উঠার একটা করুণ আকুতি। দু’মুটো অন্ন নাকি চিকিৎসার সংস্থান করবেন আয়না মিয়া। হাতাশা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাকে। সমাজের বিত্তবানরা একটু সুনজর দিলে আস্থাকুড়ে থেকে উঠতে পারে পরিবারটি। মহৎপ্রাণ কোন সুহৃদয় আয়না মিয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাইলে (০১৭২৮-৯৯৬৪০১- বিকাশ, পার্সোনাল) এই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

ওয়াইএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত