ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

‘প্রমাণ হয়েছে, ড. কামাল বরাবর পাকিস্তানের পক্ষেই ছিলেন’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০১৮, ২০:১৮

‘প্রমাণ হয়েছে, ড. কামাল বরাবর পাকিস্তানের পক্ষেই ছিলেন’

সংবিধানের ‍মুখবন্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নেই কেন— সেই প্রশ্ন তুলে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ড. কামাল বরাবরই পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।

রোববার জাতীয় সংসদে একজন সংসদ সদস্যের সম্পূরক প্রশ্নের পর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন। পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এসব বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ হাতে নিয়ে কথা বলতে হবে। জাতীয় সংসদেই এসব বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য উল্লেখ করে তা দেশবাসীকে জানাতে হবে।

চলতি দশম জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশন শুরু হয়েছে আজ রোববার বিকেলে। অধিবেশন শুরুর পর বগুড়া-৬ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম ওমর তারকাচিহ্নিত প্রশ্ন সংসদে উত্থাপন করেন। পরে তিনি সম্পূরক প্রশ্ন উত্থাপনের সময় পয়েন্ট অব অর্ডারে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের একজন। কিন্তু সংবিধানের মুখবন্ধে জাতির জনকের নাম কেন নেই? তিনি (ড. কামাল) আবার জিয়াকে (সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান) স্বাধীনতার ঘোষক মনে করেন। তিনি তাহলে বঙ্গবন্ধুর কোন আদর্শের অনুসারী ছিলেন? এতদিন পর এসে প্রমাণিত হয়েছে, ড. কামাল বরাবরই পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন।

তার এই বক্তব্যের পর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বলেন, আমাদের অনেকেরই বক্তব্য রয়েছে। এই অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে কিছু কথা বলতে চাই। কিছু কথা বলতে হবে, দেশবাসীকে জানাতে হবে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় যারা জড়িত, এই হামলার মামলার রায়ে যাদের যাবজ্জীবন-ফাঁসি হয়েছে, তাদের সঙ্গে ঐক্য গড়া আর সংবিধান প্রণয়ন এক কথা নয়।

এসময় স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমরা আপনার সঙ্গে পরামর্শ করে পর্যাপ্ত প্রমাণ নিয়ে তথ্য হাজির করব, যা জাতির জানা দরকার।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তে, অনেক মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন। ওই বছরই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চারটি মূলনীতি রেখে সংবিধান প্রণয়ন করা হলো। ড. কামাল হোসেন সংবিধান প্রণয়নে যুক্ত ছিলেন। আরও অনেকে ছিলেন। আমরাও গণপরিষদ ফোরামের সদস্য ছিলাম।

তিনি আরও বলেন, ড. কামাল হোসেন নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত বলে দাবি করতেন। বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসন থেকে দুই বার বিনা ভোটেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে আমরা তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি হেরে যান। তবে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। হার-জিত সবার জীবনেই আছে। কিন্তু সংবিধান পরিপন্থী কাজে যারা বিশ্বাস করে, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত, একটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে একজনকে অভিহিত করা হয় যদি আবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত; সেই তাদের সঙ্গে ঐক্য করেছেন ড. কামাল। তার বিষয়ে আরও অনেক তথ্য আমাদের তুলে ধরতে হবে সবার জন্য।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত