ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

হাইকোর্টে রিট করছেন পয়ত্রিশোর্ধ নিবন্ধনধারীরা

হাইকোর্টে রিট করছেন পয়ত্রিশোর্ধ নিবন্ধনধারীরা

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য এবং বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক সংকটে নাজুক অবস্থার সৃষ্ট হয়েছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের শূন্যপদ সৃষ্টি হওয়ার কারণে শিক্ষকদের রুটিনের চেয়ে বেশি ক্লাস নিতে হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন শিক্ষকদের হাড় খাটা পরিশ্রম হচ্ছে অন্যদিকে মানসম্মত শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।

গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর মহামান্য আদালত নিবন্ধন সনদধারীদের নিয়োগের সুপারিশ করতে এনটিআরসিএ’কে নির্দেশ প্রদান করে। রায় অনুসারে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় সমন্বিত মেধাতালিকা প্রকাশ এবং মাসাধিক সময় নিয়ে ই-রিকুইজিশন সমাপ্ত করলেও সুপারিশ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী , পয়ত্রিশোর্ধ সনদধীরিরা নিয়োগের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে না। এ বিষয়ে ১২তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী এবং ৩৮ বয়সি মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, আমি ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় দিনাজপুর সদর উপজেলার একমাত্র উত্তীর্ণ প্রার্থী। এনটিআরসিএ প্রথমবারের মতো দ্বাদশ নিবন্ধনের মেধা তালিকা করে কিন্তু ২০১৬ সালের নিয়োগ সুপারিশে আমি নিয়োগ সুপারিশ পাইনি। এখন এমপিও-১৮ কালো নীতিমালায় আমাদের বাদ দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই ৩৫ বা তদুর্ধ বয়সি শিক্ষক নিবন্ধিতদের নিয়ে এমপিও নীতিমালার ১১(৬) ধারা বাতিল করার জন্য আগামী ২৮ অক্টোবর রবিবার মহামান্য হাইকোর্টে রিট দাখিল করতে যাচ্ছি।

নাজমুল হক আরো বলেন, এনটিআরসি একটি ধূর্ত প্রতিষ্ঠান। এর আগে গণবিজ্ঞপ্তিটি ঠিক ছুটির সময়ে দিয়েছিল। আসন্ন বিজ্ঞপ্তিটিও যদি স্বল্প সময়ে ছুটির দিনে প্রকাশ করে এবং ৩৫+ বয়সি নিবন্ধিতরা তাতে বঞ্চিত হলে করার কিছুই থাকবে না। এজন্য এনটিআরসিএ’র প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় না থেকে এমপিও নীতিমালাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করতে যাচ্ছি। তিনি নিবন্ধিতদের দ্রুত এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত