বাংলাদেশ জার্নালে নিউজ, অনিয়মের খোঁজে ইউএনও

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় নির্মাণকাজ শেষ না হতেই ভেঙে পড়েছে দুর্যোগ সহনীয় ঘরের দেয়াল। এ প্রকল্পে অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। বাংলাদেশ জার্নালে ২১ মার্চ 'নির্মাণের আগেই ভেঙে গেল দুর্যোগ সহনীয় ঘর' শিরোনামে একটা সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর পুরো বিষয় তদন্ত করতে শুরু করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনসুর উদ্দিন।

এদিকে ওই উপজেলার দুর্যোগ সহনীয় প্রকল্পের অন্য ঘরগুলো নির্মাণেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত করলে সত্যতা পাওয়া যাবে বলে স্থানীয় লোকজন জানান।

তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি ঈদগাহ মাঠ এলাকার মৃত শহিদার রহমানের স্ত্রী রোজেয়া বেওয়াকে দুর্যোগ সহনীয় বসতঘর নির্মাণ করতে একটি প্রকল্প দেয়া হয়। ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুই কক্ষ, রান্না ও বাথরুমসহ করিডোর বিশিষ্ট প্রতিটি বাড়ির বিপরীতে ২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সুবিধাভোগী রোজেয়া বেওয়া বলেন, টাকা ছাড়া ঘরের তালিকায় নাম দেন না চেয়ারম্যান শওকত আলী। নাম চূড়ান্ত করতে উপজেলা অফিসের কথা বলে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান। এরপরও শ্রমিকদের প্রতিদিন খাওয়াতে হয়। বালু ও রড কিনে দিতে হয়েছে। বালুতে সামান্য সিমেন্ট মিশিয়ে কাজ করা হয়েছে। ফলে নিলটন না দিতেই দেয়াল ভেঙে মাটিতে পড়েছে। নিম্নমানের কাজটি বন্ধ করতে বলেও কোন কাজ হয়নি। নিম্নমানের কাজের ঘর ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করতে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেছি।

এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ শনিবার বাংলাদেশ জার্নালে প্রকাশ হলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনসুর উদ্দিনের নজরে আসে। তিনি এ প্রকল্পের অনিয়ম দেখতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন।

আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প মফিজুল ইসলাম বলেন, যেহেতু ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সেহেতু এই মুহূর্তে এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনসুর উদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় দুর্যোগ সহনীয় প্রকল্পের বসতবাড়ি নির্মাণে অনিয়মের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। তা আমলে নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। পাশাপাশি এ প্রকল্পের অন্য ঘরগুলো নির্মাণে অনিয়ম হয়েছে কি না, তাও তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে