ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

নির্দেশনা না মেনেই ঘুরছে বাসের চাকা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২০, ১৩:৩১

নির্দেশনা না মেনেই ঘুরছে বাসের চাকা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে ৬৭ দিন গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার থেকে পুনরায় রাজধানীসহ দেশজুড়ে বাস ও মিনিবাস চলাচল শুরু হয়েছে।

আজ সকাল থেকে রাজধানীর সকল বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস চলাচল শুরু হয়। এছাড়া চলাচল করতে দেখা গেছে লেগুনা, মিনিবাস, ইজিবাইকসহ অন্যান্য গণপরিবহনও। তবে চলাচল শুরু হলেও নির্ধারিত ভাড়া আদায় ও স্বাস্থ্যবিধি- কোনোটাই মানা হচ্ছে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।

সরেজমিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে বাসগুলোতে সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রী পরিবহণ করছে। তবে দূরত্ব থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার পক্ষে নেই অনেকেই। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। গ্লোবস পড়েছেন সামান্য কিছু মানুষ।

বাসের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীদের বসানো হলেও মূল গোলযোগ দেখা গেছে বাসে ওঠার আগেই। বাসস্ট্যান্ডে এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বাসগুলোকে। আর বাসের অপেক্ষায় সামাজিক দূরত্বে তোয়াক্কা না করে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা। বাসস্ট্যান্ডগুলোতে পরিবহণ শ্রমিক ও যাত্রীদের চলাচলও সামাজিক দূরত্বে পরিপন্থী।

এদিকে বাসের পাশাপাশি গাবতলী থেকে সদরঘাট, শ্যামলি থেকে মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট থেকে জিগাতলা, জিগাতলা থেকে মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন রুটে চলাচল করেছে লেগুনা। এসময় লেগুনায় সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না গাবতলী থেকে সদরঘাট, উত্তরখান, দক্ষিণখান এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চলাচলকারী ইজিবাইকে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়লে তার প্রভাব দেখা যায় বাংলাদেশেও। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ভাইরাসের সংক্রমণ রোধের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের সকল গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। লকডাউন তুলে দিয়ে গতকাল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদে সকল কিছু সীমিত আকারে খুলে দেয় সরকার।

সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। বাসে আসনের অর্ধেক যাত্রী নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তোলেন। পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব থাকলেও গতকাল রোববার (৩১ মে) দূরপাল্লার, ঢাকা ও তার আশপাশে এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর বাস ও মিনিবাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

বিআরটিসির বাসেও এই নতুন ভাড়া কার্যকরের কথা বলা হয়। নতুন ভাড়ায় বাস চালানোর আগে গতকাল রাজধানীর বেশ কিছু রাস্তায় বাসে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়। তবে আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযোগ এসেছে, গণপরিবহণের নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায় করা হচ্ছে। ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নেয়ার কথা থাকলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ এবং কোথাও কোথাও তারও বেশি আদায় করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত