ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ক্লিনিকে সিজারের পর কিশোরীর মৃত্যু, ডাক্তার পলাতক

  ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২০, ১৬:২৫

ক্লিনিকে সিজারের পর কিশোরীর মৃত্যু, ডাক্তার পলাতক

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপার মোড়ে মানহীন একতা ক্লিনিকে লাবনী আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। লাবনী মহেশপুর উপজেলার সেজিয়া গ্রামের নাঈম হাসানের স্ত্রী।

অভিযোগ রয়েছে, সোহেল রানা নামে এক কথিত চিকিৎসক সিজার করার পরপরই বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় লাবনীর। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য লাবনীর মৃত লাশ জীবিত দেখিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ঘটনার পর থেকে ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক গা ঢাকা দিয়ে আছেন। টাকা দিয়ে এই মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তবে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, লাবনী আক্তার মৃত্যুর ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি।

নিহতের স্বামী নাঈম অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার ভোরে তার স্ত্রীর প্রসববেদনা শুরু হলে নেপার মোড়ে অবস্থিত মোহন লাল ও তার ছেলে সোহেলের মালিকানাধীন একতা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এরপর কথিত চিকিৎসক ডা. সোহেল রানা লাবনীকে সিজার করেন। সিজারের পরপরই মৃত্যু হয় লাবনীর।

এলাকাবাসী জানায়, ক্লিনিকটির নেই কোন অনুমোদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স, প্যাথলজি টেকনিশিয়ান। নেই চিকিৎসার নুন্যতম কোন পরিবেশ। অজপাড়া গাঁয়ের এই ক্লিনিকে সর্বক্ষণ কোন চিকিৎসক থাকে না। হাসপাতালের মালিক মোহন লাল ওয়ার্ড বয়, মা আয়া ও ছেলে সোহেল ডাক্তার সেজে ক্লিনিকটি পরিচালনা করেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এ ব্যাপারে ক্লিনিক মালিক সোহেল ও চিকিৎসক সোহেল রানার বক্তব্য নেয়ার জন্য তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বলেন, শুনেছি নেপার বাজারের একতা ক্লিনিকে এক প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। আমি মহেশপুরের স্বাস্থ্য অফিসার ডা. আনজুমান আরাকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। এ বিষয়ে কাউকে ছাড়া দেয়ার আর স্কোপ নেই।

সূত্র মতে, সংঘবদ্ধ অসাধু চক্র ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুরসহ প্রতিটি উপজেলার আনাচে-কানাচে অবৈধভাবে ক্লিনিক ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার খুলে অনৈতিকতা চালিয়ে গেলেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তেমন কোনো অভিযান চালানো হয় না।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত