ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

গলায় কিরিচ ঠেকিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ

  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২০, ১৯:২৭

গলায় কিরিচ ঠেকিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায় এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীকে গলায় কিরিচ ঠেকিয়ে এবং সন্তান হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করলো চাচাতো ভাই। একই কৌশলে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন দুই সন্তানের জননী ওই প্রবাসীর স্ত্রী। উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের ছোট আলদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী নারী এ ঘটনায় ধর্ষকের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর কাছে অভিযোগ করেও বিচার না পেয়ে ১২ অক্টোবর সোমবার রাতে পাকুন্দিয়া থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করেন।

রাত আটটা পঁয়ত্রিশ মিনিটের দিকে মামলা রুজুর পর পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে আট ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষক মো. আরিফ (৩৫) কে গ্রেপ্তার করে।

জানা গেছে, দীর্ঘ ১০ বছর আগে উপজেলার ছোট আলদি গ্রামের ওই নারী (২৫) একই উপজেলার ষাট কাহন গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ইতিমধ্যে ঘর আলো করে ওই দম্পতির ঘরে দুই পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। স্বামী বিদেশে প্রবাসজীবন কাটানোর কারণে ওই নারী অধিক সময়ই বাবার বাড়িতে অবস্থান করতেন।

এদিকে, স্বামীর প্রবাস জীবন ও অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তার প্রতিবেশী এবং বাবার চাচাতো ভাই আবদুল মান্নানের ছেলে মো. আরিফ প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো।

চলতি বছরের ৭ জুন ওই নারীর বাবা সাংসারিক প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী কালিয়াচাপড়া বাজারে এবং মা তার বড় ছেলেকে নিয়ে উপজেলার পোড়া বাড়িয়া গ্রামে তার নানা বাড়িতে বেড়াতে যান।

ওইদিন রাত ১০টার দিকে তিনি কোলের শিশুকে নিয়ে বাবার বাড়ির বসতঘরে একা অবস্থান করছিলেন। এ সময় লম্পট আরিফ কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে গলায় কিরিচ ঠেকিয়ে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে বললে সন্তানদের খুন করার হুমকি দিয়ে লম্পট আরিফ একই কায়দা ও কৌশলে ২৮ জুন এবং ১৫ আগস্ট রাতে তিন তিনবার তাকে ধর্ষণ করে। আর এ ঘটনায় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই নারী।

এমন যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে অনন্যোপায় ওই নারী নিজের মা-বাবা এবং ধর্ষক আরিফের অভিভাবকদের কাছে বিচারপ্রার্থী হয়েও বিচার বিচার না পেয়ে পাকুন্দিয়া থানায় সশরীরে হাজির হয়ে মামলা রুজু করেন।

পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান মামলা রুজুর পরপরই আসামি গ্রেপ্তারে তার নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়।

মাত্র আট ঘণ্টার মাথায় মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে বাসযোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলেরঘাট মহাসড়ক এলাকা থেকে ধর্ষক আরিফকে গ্রেপ্তার সম্ভব হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপুলিশ পরিদর্শক কাওসার আল মাসুদ জানান, মামলার একমাত্র আসামি গ্রেপ্তার ধর্ষক আরিফকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত