ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

আগুন-হামলা পরিকল্পিত: সালথার ইউএনও

  ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৪১

আগুন-হামলা পরিকল্পিত: সালথার ইউএনও

করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে গিয়ে ফরিদপুরের সালথায় মানুষজনকে পেটানো হয়েছে- এমন অভিযোগে সোমবার দিবাগত রাতে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে হামাল চালায় স্থানীয়রা। এ সময় ইউএনও ও এসিল্যান্ডের গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লোকজনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা এলাকায়।

সংঘর্ষের ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত যুবকের নাম জুবায়ের (২২)। তিনি রামকান্তপুর ইউনিয়নের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে।

এদিকে হামলা ও আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি প্রশাসন ও পুলিশের। সালথার ইউএনও হাসিব সরকার বলেন, গুজব ছড়িয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: সালথার ঘটনায় নিহত এক, থমথমে অবস্থা

ইউএনও সাংবাদিকদের বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার বিকালে রামকান্তপুর এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন করতে যাই। সেখানে মানুষের জটলা সৃষ্টি হলে আমি ফিরে আসি। সেখানে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের এসআই মিজানুর রহমানের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা। হামলায় মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ চলে আসার পর স্থানীয় একটি চক্র গুজব রটায় যে, পুলিশের গুলিতে স্থানীয় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এবং বাহিরদিয়া মাদ্রাসার দুই মওলানাকে গ্রেপ্তারের পর মারধর করা হচ্ছে। এর জেরে রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা চত্বরে লাঠিসোটা নিয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ইউএনওর গাড়ি, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি ও তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা।

এদিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে মরদেহটি উদ্ধার করা যায়নি। মরদেহটি পরিবারের কাছে আছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।

এর আগে গতকাল সমবার বিকেলে উপজেলা সদর থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরের ফুকরা বাজার থেকে ঘটনার সূত্রপাত।

স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, করোনাকালের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে দুই আনসার সদস্য ও ব্যক্তিগত সহকারীকে নিয়ে এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা ফুকরা বাজারে যান। সেসময় চা পান করতে আসা জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে লাঠিপেটা করা হয়েছিলো বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। এ ঘটনার জেরে পরে ফুকরা বাজারে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় শত শত মানুষ গিয়ে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত