ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

লকডাউনের ঢাকায় তীব্র যানজট

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২১, ১৮:১৭

লকডাউনের ঢাকায় তীব্র যানজট

দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি দিনদিন অবনতির দিকে যাওয়ায় বুধবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ খবরে অনেকেই রাজধানী ছাড়ছেন। আবার আসন্ন রোজা ও ঈদকে ঘিরে নগরবাসী জরুরী কেনাকাটা করতে বাইরে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে রোববার রাজধানীর রাস্তায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয় সকাল থেকেই। এতে নাকাল হয়েছেন নগরবাসী। এছাড়া মাস্ক না পরা, পরলেও নামে মাত্র পড়া, সামাজিক দূরত্ব না মানার বিষয়টি ছিল চোখে পড়ার মতো।

গত কয়েকদিনে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে চলাচল করা গেলেও আজ ব্যস্ততম এলাকার সবগুলো পয়েন্টেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট বাড়তে থাকে। বিকেলের দিকে এর মাত্রা আরো বাড়ে। ট্রাফিক সিগন্যালে কোথাও কোথাও দীর্ঘক্ষণ যানজট লেগে থাকার দৃশ্যও দেখা গেছে। কেউবা কাজের উদ্দেশ্যে ছুটছেন কর্মস্থলে, কেউবা কেনাকাটা আবার অনেকে কোন কাজ ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়েছেন।

রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, শাহবাগ, মৌচাক, মালিবাগ, মগবাজার, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যানজটের চিত্র এমনই লক্ষ্য করা গেছে।

পথচারীরা বলছেন, নতুন করে লকডাউন দেয়ার ঘোষণায় তারা কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। কারণ এক সপ্তাহের কথা বলা হলেও আসলে কতদিন লকডাউন চলবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। অন্যদিকে দোকানপাট ও শপিংমল বিকাল ৫টায় বন্ধ হয়ে যাবে তাই অনেকে কড়া রোদের মধ্যেও ভরদুপুরে মার্কেটে ছুটেছেন।

রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে দাড়িয়ে ছিলেন আব্দুর ওহাব। তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডি জিগাতলা যাওয়ার জন্য আধ ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। বাস আছে কিন্তু সিট না থাকায় উঠতে পারছি না।’ তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন দুইদিন বাস চলাচল করলেও এত বাস ছিল না। আজ এখন পর্যনন্ত অনেক বাস চলে গেছে কিন্তু সিট ফাকা না থাকায় উঠতে পারছি না।

মৎস্য ভবন এলাকায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অনেকক্ষণ মনির হোসেন বলেন, ‘রাস্তার অবস্থা দেখে যেন মনে হচ্ছে ঈদের ছুটি লাগছে। সব রাস্তায় জ্যাম।’

অনেকে বাস না পেয়ে হেটে যেতে দেখা গেছে। লাইন্সল্যাব এলাকায় কথা হয় আতাউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যাত্রাবাড়ি থেকে আসতে প্রায় ২ ঘন্টার বেশি সময় লাগছে।’

এদিকে, নিউ মার্কেট এলাকায় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানালেন, নতুন করে লকডাউন দেয়ার ঘোষণায় কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। কারণ সামনে কতদিন লকডাউন চলবে তা অনিশ্চিত।

লালবাগ এলাকার বাসিন্ধা আফজল হোসেন বলেন, ‘করোনার যে অবস্থা তাতে লকডাউন বেশি থাকতে পারে। তাই কেনা কাটা করতে এসেছি।’

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রথম দফায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে শপিংমল, দোকান-পাট, হোটেল, রেস্তোরাঁসহ গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার।

কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করলেও সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বুধবার থেকে ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলাচল করছে গণপরিবহন।

অন্যদিকে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত