ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪০ মিনিট আগে
শিরোনাম

অন্যের পরিচয়পত্রে টিকিট কেটে দিগুন দামে বিক্রি, গ্রেপ্তার ৪

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫৫

অন্যের পরিচয়পত্রে টিকিট কেটে দিগুন দামে বিক্রি, গ্রেপ্তার ৪
গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: নিজস্ব

রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে অথবা অনলাইনে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে টিকিট কেটে কয়েকগুন বেশি দামে বিক্রি করা কালোবাজারি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চক্রের মূলহোতা উত্তম দাস (৩২), মো. ইলিয়াস (৫৯), মো. শাহ আলম (৩৪) ও মো. খোকন মিয়া (৫৫)।

বুধবার রাজধানীর কমলাপুর এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪২টি কালোবাজারি টিকিট, ৩টি মোবাইল ফোনসেট, একটি সিমকার্ড এবং নগদ ১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে কালোবাজারি চক্রটির অন্যতম মূলহোতা উত্তম দাস এবং অন্যান্য সদস্যরা মিলে রেলস্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে অথবা অনলাইনে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে টিকিট কাটতো। এরপর উত্তমের নেতৃত্বে চক্রের সদস্যরা ট্রেন ছাড়ার ৩-৪ ঘন্টা কয়েকগুন বেশি দামে টিকিট বিক্রি শুরু করতো। ট্রেন ছাড়ার সময় কাছাকাছি আসতো ট্রেনের টিকিটের দাম ততই বাড়তো।

তিনি বলেন, চক্রটি মূলত সোনার বাংলা, কালনী এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশীথা, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং পারাবত এক্সপ্রেস এই সকল ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে থাকে। এই চক্রটির আরও সদস্য ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে ৫-৭ জন করে সক্রিয় সদস্য রয়েছে। তারা এই ট্রেনগুলোর টিকিট সাধারণ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করতো।

র‌্যাব জানায়, চক্রের মূলহোতা উত্তম দাস রেলস্টেশনে কর্মরত অসাধু একটি চক্রের যোগসাজসে ২০১৮ সাল থেকে টিকিট কালোবাজারির ব্যবসা শুরু করেন। তিনি মূলত নিজে টিকিট কাটার কাজ না করে তার সহযোগীদের দিয়ে টিকিট কাটাতেন। বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বের হয়ে আবারও একই কাজ করছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত