ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

নতুন প্রজন্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পিঠা উৎসব

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:৫২  
আপডেট :
 ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:৫৯

নতুন প্রজন্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পিঠা উৎসব

দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা রকম পিঠা। যান্ত্রিক জীবনে আর আধুনিকায়নের যুগে নতুন প্রজন্ম কতটুকুই বা জানে পিঠার কথা? গ্রাম-বাংলার বিলুপ্ত প্রায় লোকজ ঐতিহ্যবাহী খাবার ধরে রাখা ও নতুন প্রজন্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পাবনার আটঘরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো পিঠা উৎসব।

উৎসবে নানান স্বাদের হরেক রকমের পিঠা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে গৃহিণী, শিক্ষার্থীসহ অনেকে। পিঠা উৎসবে এসে উচ্ছ্বসিত নানা বয়সী মানুষ।

টেবিলে প্লেটে থরে থরে সাজানো নানা রঙের পিঠা। পাকান, ভাঁপা, পুলি, চিতই, পাটিশাপটা, নকশি পিঠা, ফুল পিঠা, মাল পোয়া, রস পাকনসহ নাম না জানা হরেক রকম পিঠা। এ যেন রসের মেলা।

নানা স্বাদের বাহারী এসব পিঠা দেখলেই মুখে পানি চলে আসবে যে কারো। বৃহস্পতিবার বিকালে এমনই আয়োজন ছিল আটঘরিয়ার কবি বন্দে আলী মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের পিঠা উৎসবে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন হ্যাপী টেকনোলোজির পরিচালক আবু সাইদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আকরাম আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার জহুরুল ইসলাম, আটঘরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. হোসেন আলী বিশ্বাস, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ। অতিথিরা পিঠার স্টল ঘুরে দেখেন।

উৎসবে বাহারী সব পিঠা দেখে মুগ্ধ নানা বয়সী দর্শনার্থীরা জানান, এই পিঠা উৎসব উপজেলাবাসীর মধ্যে অন্যরকম উৎসব তৈরি করে। তাই প্রতি বছর উৎসবে আসতে কেউ ভুল করে না। উৎসবে এসে অনেকেই নতুন নতুন পিঠার নাম জানতে পারে, বাড়িতে গিয়ে ওইসব পিঠা বানানোর চেষ্টা করে। এভাবেই গ্রামবাংলার পিঠাকে ধরে রাখা সম্ভব।

উৎসব নিয়ে উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণকারীরা জানান, প্রতিবছর এই পিঠা উৎসবে অংশ নেয় তারা। রীতিমতো পিঠার প্রতিযোগিতা হয়। যেখানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কারও দেয়া হয়। উৎসবে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩শ রকমের পিঠা নিয়ে অংশ নেয় ৯১ জন প্রতিযোগী। পরে তাদেরকে পুরস্কৃত করেন অতিথিরা।

উৎসবের আয়োজক দেবোত্তর বাজারের হ্যাপি টেকনোলোজির পরিচালক আবু সাইদ জানান, বিলুপ্তপ্রায় নাম না জানা পিঠাগুলো নতুন প্রজন্মের সাথে পরিচয় করে দিতে ও গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এমন আয়োজন বলে জানান। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকরাম আলী জানান, ব্যক্তি পর্যায়ে এমন সুন্দর আয়োজন সত্যি মুগ্ধ করার মতো। আয়োজকদের ধন্যবাদ দিতেই হয়। আসরে গ্রামীণ এই ঐতিহ্যকে আমাদের সবাইকে ধরে রাখতে হবে। এজন্য আগামী উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে এমন আয়োজন ছড়িতে দিতে উদ্যোগ নেয়া হবে। সেইসাথে এ বছর থেকেই ছয়টি ঋতুতে আলাদা ঋতু অনুযায়ী ছয়টি পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হবে বলেও জানান ইউএনও।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত