ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে অবরোধ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:০৪  
আপডেট :
 ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:১২

কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে অবরোধ

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ শতাংশ করার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে তারা। এ কারণে ওই রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান জানান, সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটার দাবিতে আন্দোলন করছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। তবে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

যেসব দাবিতে আন্দোলন করছে- ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল, স্বাধীনতাবিরোধীর সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ, চাকরিতে বহাল স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা করে বরখাস্ত, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, মুক্তিযোদ্ধাদের কটূক্তিকারীদের ‘হলোকাস্ট অ্যাক্ট বা জেনোসাইড ল’র অধীনে বিচার, কোটা আন্দোলনে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে হামলাকারীদের বিচার, রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিভিন্ন ফেসবুক পেজের এডমিনদের চিহ্নিত করে বিচার, সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন, বিগত সময়ে গণহত্যা ও আগুন সন্ত্রাসকারীদের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার করা। গত ৪ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করে সরকার। পরিপত্রে বলা হয়, নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। এখন থেকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোটা ব্যবস্থা আগের মতোই বহাল থাকবে। সরকারি চাকরিতে নিয়োগে এতদিন ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।

পরিপত্রে উলে­খ করা হয়, সরকার সকল সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ জারি করা কোটা পদ্ধতি সংশোধন করল।

এদিকে কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে কয়েক মাস আগে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দেয় সরকার। ওই কমিটি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার সুপারিশ করে, যা ৪ অক্টোবর মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত