ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ইসির চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার, আটক ১

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:০৭  
আপডেট :
 ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:১০

ইসির চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট নির্বাচন কমিশনের চুরি যাওয়া সেই ল্যাপটপসহ মোস্তফা ফারুক (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মোস্তফা ফারুক (৩৬) ফেনী জেলা সদরের লস্করহাট দমদমা এলাকার মো. ইলিয়াছের ছেলে। যিনি ‘আউট সোর্সিংয়ের’ মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজে যুক্ত ছিলেন।

সর্বশেষ বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অধীনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে কাজ করেছিলেন মোস্তফা।

ফারুক চট্টগ্রামের হামজারবাগের মোমিনবাগ আবাসিক এলাকায় এক বাসায় ভাড়া থাকতেন।

মোস্তফা ফারুকের কাছ থেকে জব্দ করা দুটি পেনড্রাইভে রোহিঙ্গাদের তথ্য এবং নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মোস্তফা এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত। তার কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি নির্বাচন কমিশনের চুরি যাওয়া ল্যাপটপ। তার কাছ থেকে ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের একটি মডেম, আইডি কার্ড লেমিনেটিং করার ৫০টি কাগজ, তিনটি সিগনেটার প্যাড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় এর আগে গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মোস্তফার তথ্য পান তারা। এর ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য বৃহস্পতিবার কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফা ফারুককে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে যে দুটি ল্যাপটপ পাওয়া গেছে তার মধ্যে একটি তাদের চুরি যাওয়া ল্যাপটপ বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

ওই ল্যাপটপ তার বাসায় কীভাবে গেল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোস্তফা ফারুক কোতোয়ালি থানা নির্বাচন অফিসের অধীনে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন তৎকালীন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ।

এরপর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে মোস্তফা ফারুকের আসা-যাওয়া ছিল। ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হলে মোস্তাফা ফারুককে আবারো বিভিন্ন উপজেলায় টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত জুন থেকে চলতি মাস পর্যন্ত মোস্তফা কর্ণফুলী, আনোয়ারা. রাঙ্গুনিয়া, রউজান ও বোয়ালখালী উপজেলায় আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করেছেন বলে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত