ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মাউশি সচিবের হুঁশিয়ারি

মাউশি সচিবের হুঁশিয়ারি

মাউশি অধিদপ্তর সম্পর্কে নিজের নেতিবাচক ধারণার কথা জানিয়ে সচিব হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বদনাম নিয়ে এখানে ঢুকেছি। যাবার আগে আমি পজেটিভ ফিডব্যাক চাই। আমার আত্মীয়-স্বজনরা বলবেন যে শিক্ষা ভবন বদলে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মুজিববর্ষে অন্তত একটি সেবার মান বাড়ানো বা নতুন সেবা চালু করার আহবান জানান গত ১ জানুয়ারি সচিব পদে যোগদান করা সৎ ও চৌকস কর্মকর্তা।

সোমবার ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অডিটোরিয়ামে ই-নথি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিশেষ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাউশি মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। সারাদেশের ১২০টি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, আইসিটি শিক্ষক ও কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নতুন সচিব মাহবুব হোসেন বলেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সম্পর্কে মানুষের মাঝে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এমনকি আমারও নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। শিক্ষা ভবনে অবস্থিত মাউশি অধিদপ্তরের এই বদনাম ঘোচানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, দেশের এমন কোনও পরিবার পাওয়া যাবে না যে পরিবারে একজন শিক্ষক বা শিক্ষার্থী নেই। তারা আমার পরিবারেও আছেন। যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে নেতিবাচক কথা বেশি হয়, মাউশি অধিদপ্তর তার একটি। এটি অনেকের কাছে কষ্টদায়ক হতে পারে। তবে ই-নথি ব্যবস্থাপনার যে কথা বলা হচ্ছে তা পুরোপুরি চালু হলে বাজারে যে নেতিবাচক কথা আছে তার মাত্রা কমতে শুরু করবে। এই নেতিবাচক ধারণা কমাতে হবে।

উল্লেখ্য, শিক্ষা ভবনে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর রয়েছে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী তথা শিক্ষিত মানুষের রয়েছে নেতিবাচক ধারণা। শিক্ষা অধিদপ্তর ও ডিআইএর মহাপরিচালক, পরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে রয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষকরা। আর ইইডিতে রয়েছেন প্রকৌশলীরা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত