তিতুমীর কলেজ ‘সম্প্রসারণ’ চায় শিক্ষার্থীরা
তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:০৮ আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:১৭
রাজধানীর মহাখালীতে ১৯৬৮ সালে প্রায় ১১ একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠা তিতুমীর কলেজে বর্তমানে শিক্ষার্থীসংখ্যা প্রায় ৫৬ হাজার। শিক্ষার্থী সংখ্যার হিসাবে বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় কলেজ তিতুমীর। আগের মতো উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) শ্রেণি কার্যক্রম নেই। তবু কলেজে রয়েছে স্থান সংকট। কলেজের শিক্ষার্থীদের সংখ্যার তুলনায় জায়গা খুবই কম।
তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীরা যে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াবে সেই সুযোগ নেই কারণ এত শিক্ষার্থীদের জন্য এত ছোট ক্যাম্পাস যথেষ্ট নয়। তবুও অবস্থার সাথে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের দাবি একটি বিস্তৃত লাইব্রেরি ও ক্যান্টিন। কিন্তু জায়গা না থাকায় সেগুলো বাস্তবায়ন করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি কলেজ ক্যাম্পাস সম্প্রসার করা।
তিতুমীর কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে এসে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছিলেন, ‘কলেজের সম্প্রসারণে নতুন জায়গা বরাদ্দ দেয়ার বিষয়ে সরকার আন্তরিক। তিতুমীর কলেজ অত্যন্ত গৌরব ও ঐতিহ্যের সঙ্গে দাঁড়িয়ে। কলেজের জায়গা সম্প্রসারণের বিষয়ে শিক্ষার্থীসহ সবার দাবির সঙ্গে আমরাও একমত। তবে এটা আমার একার কাজ নয়, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগবে। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করব।’
তিতুমীর কলেজের গণিত বিভাগের মাসুদ বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, ‘নতুন ভবনগুলো তৈরি হওয়াতে ক্লাস সংকট কিছুটা নিরসন হবে। তবে আমাদের ক্যাম্পাসটা অনেক ছোট। এতগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য এত ছোট ক্যাম্পাস!’
বাংলা বিভাগের তানিশা বলেন, ‘ক্যাম্পাস এতটা ছোট যে কখনো কখনো দেরি করে ক্যাম্পাসে আসলে বন্ধুদের সাথে বসে কোথাও যে আড্ডা দিব সে জায়গায় খুঁজে পাই না। যতটা সময় আমারা ক্লাসের বাইরে থাকি ততক্ষণ তো আর দাঁড়িয়ে থাকা যায় না।’
মাষ্টার্সে অধ্যয়ণরত সৈকত বলেন, ‘এই ক্যাম্পাস আমার কাছে অনেক পুরোনো। তবে সময়ের সাথে সাথে জায়গা সংকটের বিষয়টিও অনুভব করেছি। আবার অনেক সমস্যা কাটিয়েও উঠেছি। কিছু সেশনের শিক্ষার্থী এখনও সেশনজটে আটকে আছে, তারা পাশ করে বের হলেই শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাবে। তখন জায়গার সমস্যাটাও আস্তে আস্তে কেটে যাবে।’
কলেজ সম্প্রসারণ ও শিক্ষার্থীদের অন্যান্য সমস্যার ব্যাপারে কথা হয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. আশরাফ হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ‘তিতুমীর কলেজে শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষার্থী কমানোর বিকল্প নেই। আমরা এরই মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক তুলে দিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ায় ডিগ্রি ও প্রিলিমিনারি মাস্টার্স তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব কোর্সে যেসব শিক্ষার্থীর পাঠদান চলমান, তারা পাস করে বেরিয়ে গেলে শিক্ষার্থী সংখ্যা কম আসবে। তারপরও আমাদের শিক্ষার্থী আরো সীমিত করতে হবে। তখন জায়গার সমস্যাটাও অনেক কমে আসবে।’
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে
আরো পড়ুন:
> প্রাণের ক্যাম্পাসে ফিরতে চায় তিতুমীরিয়ানরা
> তিতুমীরের ফুট ওভারব্রিজে লাগছে সংস্কারের ছোঁয়া
> সরকারি তিতুমীর কলেজ শিক্ষক পরিষদের নতুন কমিটি
> প্রশংসিত ‘তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি’
> নিজ ঘরে ‘পরবাসী’ তিতুমীর পরিবার
> সরকারি তিতুমীর কলেজের ওয়েবসাইট হ্যাক
> তিতুমীরে পানি সংকট, বার বার আশ্বাসেও মেলে না সমাধান
> তিতুমীর কলেজে ৫টি বাস দিচ্ছেন কাদির মোল্লা
> তিতুমীরে পানির সংকট, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
> তিতুমীরে হয় না অনলাইন ক্লাস, ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস