ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাবি উপাচার্যের বাসার সামনে শিক্ষার্থীরা

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ২৩:৩৪

প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাবি উপাচার্যের বাসার সামনে শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে হলের ছাত্রীদের অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুন নাহারের পদত্যাগ দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন হলটির ছাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে অর্ধশতাধিক ছাত্রী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে তারা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন।

ছাত্রীদের অবস্থানের পরপরই সেখানে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। তিনি অভিযোগ শোনেন। তবে সেখানে প্রক্টর গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

অবস্থান নেয়া ছাত্রীরা বলেন, রাতে আমরা কেউ অসুস্থ হলে প্রভোস্ট ম্যাম বলেন, তোমাদের সব সমস্যা কী রাতেই হয়? আমরা অনেকে ক্যাম্পাস থেকে দূরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি। আমরা যখন ম্যামকে বলেছি, আমাদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করে দেন। তখন তিনি বলেন, এটা কি আমার দায়িত্ব? একজন প্রভোস্টের মুখে এসব কথা আমরা কেন শুনবো? আমরা এই প্রভোস্টের পদত্যাগ চাই।

প্রক্টরের পর সেখানে যান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তিনি শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে প্রক্টরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।

সৈকত বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরা অভিভাবকসুলভ আচরণ করতে হবে। তারা শিক্ষার্থীদের সমস্যা দেখবেন এটাই হওয়া উচিত। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা না হোক। একজন প্রশাসক হিসেবে শিক্ষার্থীদের দেখভাল করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব প্রাধ্যক্ষ ম্যামের। তিনি যদি দায়িত্বে অবহেলা করেন তাহলে কখনো তিনি দক্ষ প্রশাসক হতে পারেননি। এরই মধ্যে হলের অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ঘটে গেছে, যেগুলো আজকে একত্রে প্রকাশিত হলো।

তিনি বলেন, তারা আজ প্রতিবাদ করতে বাধ্য হয়েছে। এটা প্রশাসনের দেখা উচিত। যারা প্রশাসনের দায়িত্বে রয়েছে তারা যেন যথাযত প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করে সেই ব্যবস্থা রাখা উচিত। শিক্ষার্থীদের নেতা হিসেবে অবশ্যই আমি শিক্ষার্থীদের পক্ষে। অবিভাবক যদি অবিভাবকসুলভ আচরণ না করেন তাহলে তার সে দায়িত্বে বসা উচিত না। এই প্রতিবাদের পক্ষে ছাত্রলীগেরও সক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেবে।

মৈত্রী হলের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা অলরেডি তৃতীয় বর্ষ শেষ করতে যাচ্ছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা লিগ্যাল সিট পাইনি। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আমরা এখানে পড়তে এসেছি। দূরদূরান্ত থেকে আমাদের অভিভাবকদের বারবার আসা-যাওয়া করতে হয় আমাদের সিট বরাদ্দের জন্য। এটা আমাদের পরিবারের জন্য অনেক প্রেসার হয়ে যায়। এ বিষয়ে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা সঠিক কোনো সমাধান এখনও পর্যন্ত দেয়নি।

এ ছাড়া সম্প্রতি হলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে জার্সি না দেয়া, মানসম্মত খাবার না দেয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা উল্লেখ করে হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত