ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

মান্নাকে স্মরণ করে যা বললেন মৌসুমী

  আসিফ আলম

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৩৪  
আপডেট :
 ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪০

মান্নাকে স্মরণ করে যা বললেন মৌসুমী

টাঙ্গাইলের ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার। চলচ্চিত্রে মান্না নামেই পরিচিত তিনি। ১৯৮৪ সালে তিনি এফডিসির নতুন মুখের সন্ধান কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। নায়ক রাজ রাজ্জাক মান্নাকে প্রথম চলচিত্রে সুযোগ করে দেন। তার অভিনীত প্রথম চলচিত্র তওবা। এরপর একের পর এক ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে সেরা নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ নানা পুরস্কার।

মান্না একাধারে তিনি নায়ক, প্রযোজক ও সংগঠক ছিলেন। অনেক গুণী জ্যেষ্ঠ অভিনয় শিল্পীকে তিনি চলচ্চিত্রে ফিরিয়ে এনেছিলেন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির খারাপ সময়ে একাই হাল ধরে বহু হিট, সুপার হিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন মান্না। আজ রোববার এই গুনী অভিনেতার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশ জার্নালের পক্ষ থেকে রইলো নায়ক মান্নার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

নায়ক মান্নার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সহকর্মীরা তাকে স্মরণ করছেন নানা ভাবে। মান্না তার চলচ্চিত্র ক্যারিরায়ে প্রায় তিনশোটির মত ছবিতে অভিনয় করেছেন। যেখানে তিনি অনেক নতুন নায়ক, নায়িকাকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন। নায়ক মান্নার সাথে জুটি বেঁধে ৮০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন ঢাকাই সিনেমার প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমী।

চলচ্চিত্রের গুনী এই অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে মৌসুমীর সাথে বাংলাদেশ জার্নালের কথা হলো। জানালেন তার সাথে মান্নার নানা স্মৃতির কথা।

মান্না ভাই আমার খুব ভালো বন্ধু ছিলো উল্লেখ করে মৌসুমী বলেন, ‘মান্না ভাইকে নিয়ে কথা বলতে গেলে শেষ হবে না।তার সাথে আমার প্রথম ছবিতে কাজ করা লটতরাজে। এরপর ৮০টি ছবিতে আমি আর মান্না ভাই জুটি হয়ে কাজ করি। মান্না ভাই আমার অনেক কাছের একজন বন্ধু ছিলেন। আমাদের দুজনার মধ্যে বোঝাপড়াটা ছিল দারুণ। চলচ্চিত্রে একটা সময় ছিলো যখন অশ্লীলতার কারণে কাজের জায়গা কমে যাচ্ছিল, অন্যদিকে সানী (ওমর সানী ) কাজ কমিয়ে দিয়েছে। সেসময় যদি মান্না ভাই যদি না থাকতো তাহলে সিনেমা থেকে সরে যেতে হতো। কিন্তু আমার বন্ধু মান্না ভাই সেটি হতে দেননি। একের পর এক ছবিতে কাজের জন্য নিয়েছেন, আর সুপার-ডুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছি।’

মৌসুমী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে বলেন, ‘মান্না ভাইয়ের ভাবনা চিন্তা ছিলো সবসময় সিনেমাকে নিয়ে। ঘুম থেকে উঠে সকালবেলা, আবার রাতে ঘুমানো পর্যন্ত সব সময়ের চিন্তাই ছিল ছবি নিয়ে। গানের জন্য যেমন দরকার মনোরম লোকেশন, ফাইটিংয়ের যেমন লোকেশন দরকার তেমনটায় তিনি বেছে নিতেন। যাতে করে সিনেমাটি ভালো হয়। একটা শট দেওয়ার পর তিনি সেই শটটা নিয়েই আবারো ভাবতেন কেমন হবে শট এমন করে দিলে।’

নায়ক মান্নার সাথে শেষ স্মৃতি মনে করে মৌসুমী বলেন, ‘তার মৃত্যুর একদিন আগেই হাসিমুখে শুটিং করে এফডিসি থেকে বিদায় নিলেন। কিন্তু পরেরদিন শুনতে পেলাম তিনি আর নেই। সবাইকে শোকে স্তব্ধ করে চলে গেলেন মান্না ভাই। এমন দুঃসংবাদের জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।’

কলেজে পড়ার সময় প্রচুর সিনেমা দেখতেন নায়ক মান্না । তখন থেকেই সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছে জাগে তার। একদিন বলাকা প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে গিয়ে চোখে পড়ে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ বিজ্ঞাপন। তারপর টিভি আর পত্রিকায় দেখে বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি ইন্টারভিউ দেন। সুযোগও পেয়ে যান তিনি।

অভিনয়, সংলাপ বলার ধরন দিয়ে নিজস্ব একটা স্টাইল দাঁড় করিয়েছিলেন মান্না। তার অভিনীত এমন কিছু ছবি আছে যে কারণে তিনি চিরদিনের জন্য দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। মান্না অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে দাঙ্গা, লুটতরাজ, তেজী, আম্মাজান, আব্বাজান , অন্ধ আইন, স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ, অবুঝ শিশু, মায়ের মর্যাদা, ‘হৃদয় থেকে পাওয়া।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত