ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সুস্থ হতে কয়েক মাস লাগবে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সুস্থ হতে কয়েক মাস লাগবে

করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) দ্বিতীয় দিন পার করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে বিষেশজ্ঞরা বলছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পুরোপুরি সুস্থ হতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে।

করোনায় আ্রকান্ত বরিস জনসন রোববার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতলে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য যান। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেন। সোমবার তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তাকে সেখানে অক্সিজেন দেয়া হলেও এখনও তার ভেন্টিলেটর লাগেনি বলে জানা গেছে।

তবে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে একজন সত্যিকারের ‘যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করে তিনি দ্রুত সেরে উঠবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব।

জনসন হাসপাতালে থাকায় আপাতত তার ডেপুটি হিসাবে সরকার পরিচালনা করছেন ডোমিনিক রাব। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব আরও জানাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং তিনি ভেন্টিলেটর ছাড়াই শ্বাস নিতে পারছেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইসিইউতে থাকার কারণে বেশ কিছুদিন কার্যত অচল থাকবেন বরিস জনসন। কেননা তার পেশী শক্তি হ্রাসসহ শরীরের কার্যক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে কমবে।

জনসন ভর্তি আছেন লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভাইরাসটির সঙ্গে লড়ায়ের পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া মানুষজন তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কয়েক সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।

তাই বরিস জনসন সুস্থ হলেও সরকার প্রধান হিসেবে কাজে ফিরতে হলে তাকে ১-২ মাস অপেক্ষা করতে হবে।

আর এই সময়ের মধ্যেই যুক্তরাজ্যে করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। ফলে এই সংকটে হয়তো দেশকে আর নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না গত ডিসেম্বরে নির্বাচিত হওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন।

যদিও মঙ্গলবার এক প্রেস কনফরেন্সে ডমিনিক রাব বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের জন্য আমরা সবাই প্রার্থনা করছি। আমার বিশ্বাস, তিনি তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন। আমি একটি জিনিস জানি, তিনি একজন যোদ্ধা।’

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জনসনের দেহে করোনা শনাক্ত হবার পর থেকে তিনি রোববার বিকেল পর্যন্ত ডাউনিং স্ট্রিটে আইসোলেশনে ছিলেন। এসময় তিনি ঘরে বসেই যাবতীয় দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু করোনা না কমে বরং তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য রোববার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে তার ঘরে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে সোমবার দুপুরের পর থেকেই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিবিসি জানায়, প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা গুরুতর। তাকে আইসিউতে এমন স্থানে রাখা হয়েছে যেখানে ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা রয়েছে।

সূত্র: ডেইলি মেইল/বিবিসি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত