ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

একজন সব্যসাচী লেখক দীপংকর দীপক

  মিজানুর রহমান মিথুন

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২১, ০২:০০

একজন সব্যসাচী লেখক দীপংকর দীপক
ছবি- সংগৃহীত

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী দীপংকর দীপক। তিনি সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলছেন। কবিতা, গল্প, গান, নাটক ও প্রবন্ধে তিনি সমান সিদ্ধহস্ত। ব্যক্তিগতভাবে আমি দীপংকর দীপকের কবিতার একজন অনুরাগী পাঠক। সাহিত্যের বিভিন্ন অঙ্গনে কাজ করলেও আমি তাকে কবি হিসেবেই পাঠকের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। তার ‘নিষিদ্ধ যৌবন’ কাব্যগ্রন্থটি পড়ে আমি যারপরনাই মুগ্ধ হয়েছি। এ কাব্যগ্রন্থ দিয়েই আমি তাকে একজন শক্তিশালী কবি হিসেবে আবিষ্কার করেছি।

দীপংকর দীপক গদ্য রচনাতেও বেশ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। আমি তার ‘ঈশ্বরের সঙ্গে লড়াই’ ও ‘নাস্তিকের অপমৃত্যু’ গল্পগ্রন্থ দুটি পড়েছি। গল্পে কাহিনির পরম্পরায় তিনি জীবনদর্শন ও বিশ্বাস-অবিশ্বাসের যুক্তি তুলে ধরেছেন। এই দুটি গল্পগ্রন্থে তিনি মানুষের বোধ ও বিবেকের জাগরণের চেষ্টা করেছেন।

পেশাগত জীবনে দীপংকর দীপক একজন সাংবাদিক। তার সাথে আমার কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। একজন আদর্শ ও সংবেদনশীল মানুষ বলতে যা বোঝায়, তিনি পরিপূর্ণভাবে তা-ই। তিনি আপদমস্তক অসম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার মানুষ। মানুষকে দ্রুত আপন করে নেয়ার অসাধারণ গুণসম্পন্ন মানুষ তিনি।

সাহিত্যিক-সাংবাদিক দীপংকর দীপক গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। এ পর্যন্ত তার ডজনখানেক বই প্রকাশিত হয়েছে।

বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নিষিদ্ধ যৌবন’ (দুই খণ্ড), ‘বুনো কন্যা’ (২০১৩), ‘ঈশ্বরের সঙ্গে লড়াই’ (২০১৪), ‘নাস্তিকের অপমৃত্যু’ (২০১৫), ‘প্রহেলিকা’ (২০১৭), ‘কালচক্র’ (২০১৭), ‘ছায়ামানব’ (২০১৮), ‘হে বঙ্গ’ (২০১৯) প্রভৃতি।

সর্বশেষ চলতি বছরের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থ ‘রক্তফুল’। এছাড়া প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ‘বাবা আমার রাজাকার’ ও সম্পাদনা গ্রন্থ ‘বিশ্বশ্রেষ্ঠ ১০০ কবির ১০০ কবিতা’।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করার পর বাংলা সাহিত্যে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেন দীপংকর দীপক। ছাত্রাবস্থা থেকেই সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বর্তমানে দেশের অন্যতম শীর্ষ জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের বার্তা বিভাগে কর্মরত।

এর আগে একুশে টেলিভিশন, দৈনিক যায় যায় দিন, দৈনিক সমকাল ও সাপ্তাহিক প্রতিচিত্রে কাজ করেছেন। টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন তিনি। আবৃত্তি অঙ্গনেও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন। মাঝে মধ্যে নাটক-গানও লিখছেন। তা ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে কাব্যসাহিত্য নিয়ে গবেষণা করছেন।

১৮ নভেম্বর দীপংকর দীপকের জন্মদিন। জন্মদিনে আমি তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সেই সঙ্গে প্রত্যাশা করছি তিনি নিয়মিত লিখবেন। বাংলাসাহিত্য তার ক্ষুরধার লেখনিতে সমৃদ্ধ হবে।

লেখক: মিজানুর রহমান মিথুন, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক

বাংলাদেশ জার্নাল/এমজে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত