ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

নিজের সেলফি বিক্রি করে আলোচনায় এক তরুণ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৪১  
আপডেট :
 ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৫১

নিজের সেলফি বিক্রি করে আলোচনায় এক তরুণ

স্মার্টফোন আসার পর থেকে বেড়েছে মানুষের নিজেদের ছবি তোলার প্রবণতা। আর সামনের ক্যামেরা দিয়ে নিজের ছবি তোলাকে সেলফি বলা হয়। মানুষ কোথাও ঘুরতে গেলে বা কোনো স্মৃতি মধুর সময়কে বন্ধী করে রাখতেই মূলত সেলফি তোলে বেশি।

তবে এবার নিজের সেলফি বেচেই কোটিপতি হয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়েছেন এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণ। ইন্দোনেশিয়ার জাভার বাসিন্দা সুলতান গুস্তাফ আল ঘোজালি নিজের সেলফি বিক্রি করে মাত্র পাঁচদিনে কোটিপতি বনে গেছেন। আর এতেই সারা বিশ্বে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন এই তরুণ। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও ঘটনা সত্যি।

মানুষের তো অনেক রকমের শখ থাকে। কারও শখ হয় কয়েন জমানো আবার কারওবা শখ হয় ভ্রমণ করার। তেমনি ২২ বছর বয়সী এই তরুণের শখ হচ্ছে সেলফি তোলা। ঘোজালি বিগত পাঁচ বছর ধরে প্রতিদিন সকালে কম্পিউটার চেয়ারে বসে একটি করে সেলফি তুলেছেন। গেমিং লাইভ স্ট্রিম করার আগে নিজেকে দেখার জন্যই মূলত তিনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এ সেলফি তুলতেন।

তার তোলা এই সেলফি যে তাকে একদিন কোটিপতি বানিয়ে দেবে তা হয়তো তিনি নিজেও জানতেন না। পাঁচ বছর পর এখন তার সেলফিগুলো লাখ লাখ টাকায় কিনছে মানুষ। মূলত সেলফিগুলোকে এনএফটিতে রূপান্তরিত করার পর সেগুলো বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন তিনি।

তরুণ ঘোজালি ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নিয়মিত সেলফি ছবি তুলতেন। ঘোজালি তার সেলফি বিক্রি করতে শুরু করেন ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে। আর বিক্রি শুরু করার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় সেলফি বেচে কোটিপতি হয়ে যান।

তরুণ ঘোজালি বিক্রির জন্য নিজের এক হাজারের মতো ছবি পোস্ট করেন। সেখানে প্রথমে প্রতিটি সেলফির মূল্য নির্ধারণ করেছিলেন মাত্র ০.০০০০১ ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথার (তিন ডলার)। তবে অজানা কারণে হঠাৎ করেই তার ছবি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপরই তার ছবির দাম হু হু করে বেড়ে যায়।

নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ঘোজালি। কেনো তার ছবি মানুষ এত দাম দিয়ে কিনছেন এ নিয়ে গভীর ভাবনায় পরে যান তিনি। ঘোজালি প্রথমে ভেবেছিলেন, কোনো সংগ্রাহক তার সেলফি সংগ্রহ করলে সেটা মজার একটা জিনিস হবে। তবে এত মানুষ কিনবে সেটা সে চিন্তাও করতে পারেনি।

প্রথমে প্রতিটি সেলফির দাম মাত্র তিন ডলার রাখলেও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পরে একেকটি সেলফির থেকে ০.২৪৭ ইথার (৮০৬ ডলার) দাম পাওয়া যায়। আর মাত্র পাঁচ দিনেই চার শতাধিক মানুষ তার অভিব্যক্তিহীন ছবি কিনেছে।

ঘোজালির ছবি বিক্রির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি সেলফি বাবদ মোট আয়ের পরিমাণ ১০ লাখ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তবে ছবি বিক্রির বিষয়টি এখনো ঘোজালি তার বাবা-মাকে বলার সাহস পাননি। কি বা বলবে? কিভাবে তিনি এতো টাকা কীভাবে আয় করছেন। ঘোজালির বাবা-মা ও ভেবে পাচ্ছেন না তাদের ছেলে কোথায় পেল এত টাকা।

তবে জানা গেছে, সেলিব্রিটিরা ঘোজালির সেলফি বিক্রিতে অনেক সাহায্য করেছেন। ইন্দোনেশিয়ার অনেক সেলিব্রিটি তার ছবি প্রচার করেছেন। আর এতেই আরও বেড়েছে সেলফি বিক্রির সংখ্যা।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত