ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভয়ংকর দ্বীপগুলোর ভূতুড়ে কাহিনী

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৩৪

ভয়ংকর দ্বীপগুলোর ভূতুড়ে কাহিনী
ছবি- সংগৃহীত

ভ্রমন পিপাসুদের জন্য বিশাল সমুদ্রের মাঝে জেগে উঠা দ্বীপ যেন অনন্য এক জায়গা। অনেকে শখ করেই যায় সেখানে। তবে অনেকের ভয় বিষয়টি বেশি কাজ করার ফলে সাধারণ দ্বীপেই তারা যেতে অনীহা প্রকাশ করে। আর যদি তাদেরকে পৃথিবীর ভয়ংকর কিছু দ্বীপের কথা বলা হয় যেখানে যাওয়ার আগেই থাকে মৃত্যুঝুকি, তাহলে তা কেমন হবে।

তাহলে আজ চলুন যেনে আসা যাক পৃথিবীর সেরকম কিছু দ্বীপের কথা।

ইলা ডা কিইমডে গ্রান্ডে:

ব্রাজিলের উপকূলে প্রশান্ত মাসাগরের বুকে যেগে উঠা ছোট্ট একটি দ্বীপ। তবে দ্বীপটি বেশি পরিচিত আইল্যান্ড অব স্নেইক বা সাপের দ্বীপ নামেই । এটি যে শুধু নামে মাত্র সাপের দ্বীপ তা কিন্তু নয়। কেননা বিশ্বে এমন অনেক সাপের দ্বীপ রয়েছে। কিন্তু এই দ্বীপে বসবস করে এক ধরনের বিষাক্ত সাপ। বথ্রপ ইনসিলারিস বা সোনালী চোখা মাথাবিশিষ্ট পিট ভাইপার সাপ যা খুবই বিষাক্ত যেটি শুধুমাত্র এই দ্বীপেই বাস করে। বলা হয় এখানে প্রতি বর্গমিটারে একটি করে সাপ বাস করে। ধারণা করা হয় এই দ্বীপে চার লাখেরও বেশী এমন সাপ রয়েছে। সাপের হাতে মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে বর্তমানে এই দ্বীপটিতে সর্ব সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।

লা ইলা ডি লাস মিনিকেস:

মেক্সিকোর একটি দ্বীপের নাম ‘লা ইলা ডি লাস মিনিকেস’ যার বাঙ্গলা করলে দাড়ায় পুতুলের দ্বীপ। আক্ষরিক অর্থেই এই দ্বীপে বসবাসরতরা বিভিন্ন আকারের পুতুল। দ্বীপটির গাছে গাছে ঝুলে থাকে সেসব ভুতুড়ে পুতুল । যার কারনে মানুষ নিরুৎসাহিত হয় ওই দ্বীপে প্রবেশের ক্ষেত্রে। এর পেছনে অবশ্য বেশ কিছুদিনের একটি করুন কাহিনী রয়েছে বলে লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে। মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি থেকে ১৫ মাইল দক্ষিণে সাচিমিলোকো খালের প্রান্তে একদিন দ্বীপের পাশে ছোট্ট একটি মেয়েকে ভাসতে দেখা যায়। মেয়েটিকে বাঁচানোর মেয়েটিকে বাচানোর সব ধরনের চেষ্টা করেন ডন জুলিয়ান সান্টানা নামে ওই দ্বীপটির একজন কেয়ারটেকার। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন।মেয়েটির পাশেই একটি পুতুল ভাসতে দেখে সেটিকে স্মৃতি হিসেবে গাছে ঝুলিয়ে রাখেন তিনি। এখনো অনেক দুঃসাহসী পর্যটকরা গাছের ডালে পুতুল ঝুলিয়ে দিয়ে সেই ধারাকে বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।

হোল রামরি দ্বীপ:

এটি মূলত কুমিরের দ্বীপ হিসেবেই পরিচিত। রেকর্ড বুকে এই দ্বীপটি নাম লিখিয়েছে সবচেয়ে বেশি মানুষকে আহত করার কারণে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী থেকে বাঁচতে জাপানী সেনাবাহিনীর এক হাজার সৈনিক এই দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছিলো। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন কে্উ কেউ আবার আতকেও উঠবেন যে, সে সময় এই কুমিরের দ্বীপটি থেকে মাত্র ২০ জন সৈন্য বেচে ফিরতে পেরেছিলেন।

পালমিরা দ্বীপ:

যদিও গঠনগত দিক থেকে একে পুরোপুরি দ্বীপ বলা যায় না কিন্তু রহস্যময় প্রবাল প্রাচীরের বেষ্টনী কিংবা কোরালসমৃদ্ধ এই দ্বীপপুঞ্জ সাধারণ দ্বীপের মতোও নয়। দ্বীপটির ভয়ংকর যে বিষয়টি রয়েছে তা হচ্ছে জাহাজ দুর্ঘটনার সাথে অসংখ্য জাহাজ উধাও হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা। যদিও দ্বীপটি জুড়ে রয়েছে সবুজের সমারোহ।

১৭৯৮ সালে আমেরিকান ক্যাপ্টেন এডমন্ড ফ্যানিং তার জাহাজ বিটসি নিয়ে এশিয়া ভ্রমণে বের হয়ে এ দ্বীপের আবিষ্কার করেন। যেসব জাহাজ এই দ্বীপের ক্রোশের শিকার হয় আমেরিকান শিপ এনজেলা।

দ্বীপের কাছাকাছি এসে বিধ্বস্ত হলে কিছু নাবিককে তীর পর্যন্ত কষ্ট করে একে টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে তাদের ছিন্নভিন্ন লাশও পাওয়া যায়। কিন্তু কে বা কারা এত নির্মমভাবে তাদের হত্যা করেছিল, তা জানা যায়নি।

মিয়াকেজিমা আইল্যান্ড:

সক্রিয় আগ্নেয়গিরির কোলঘেঁষে মিয়াকেজিমা দ্বীপ অবস্থিত। টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে, যদিও জনমানবহীন নয় তাই একে শহরও বলা চলে। দ্বীপটিতে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে তা প্রতি মুহূর্তে বাতাসে মিশে যাচ্ছ। এখানে বাস করতে হলে সবসময় একটি গ্যাস মাস্ক রাখতে হবে। ২০ বছর অন্তর অন্তর এখানকার আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেমে থাকে। প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টন সালফার দূষণ হচ্ছিল। ২০০০ সালে দ্বীপের অনেক অধিবাসীই দ্বীপ ছেড়ে চলে যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/সেফু/এএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত