ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাক্ষাৎকারে হানিফ

‘বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের এখনই দলের দায়িত্ব নেয়া উচিত’

  তৌফিক ওরিন

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:২৮  
আপডেট :
 ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৩৪

‘বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের এখনই দলের দায়িত্ব নেয়া উচিত’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের টানা ৩ মেয়াদে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদরে দায়িত্ব পালন করছেন মাহবুব উল আলম হানিফ। এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার পৈতৃক বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কোর্ট পাড়া এলাকায়। আওয়ামী লীগের আসন্ন ২১তম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় নানা বিষয়ে বাংলাদেশ জার্নালের সাথে কথা বলেন তিনি। সেই আলাপে উঠে এসেছে আসন্ন সম্মেলনের বিভিন্ন বিষয়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলাদেশ জার্নালের নিজস্ব প্রতিবেদক তৌফিক ওরিন।

বাংলাদেশ জর্নাল: আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে কত জন কাউন্সিলর অংশ নেবেন?

মাহবুব-উল আলিম হানিফ: প্রত্যেকটা জেলা পর্যায় থেকে জনসংখ্যার হারে কাউন্সিলর নির্দিষ্ট রয়েছে। প্রতি ২৫ হাজার জনসংখ্যায় ১ জন করে কাউন্সিলর নির্ধারিত হবেন। ফ্রাকশন হিসেবে ১২ হাজারের উপরে গেলে ১ জন কাউন্সিলর হবেন। সেই হিসেবে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৭ হাজার ৩৩৭ জন কাউন্সিলর রয়েছে। এর বাহিরে আমাদের দলীয় সভানেত্রীর নিজস্ব কোটা হিসেবে কো-অপশন কাউন্সিলরও থাকবেন। বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে সম্মেলনের কাউন্সিলর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল: বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা কে কোন জেলার কাউন্সিলর হিসেবে সম্মেলনে অংশ নেবেন?

মাহবুব-উল আলিম হানিফ: সেটি এই মুহূর্তে জানা নেই। আমাদের ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে কাউন্সিলর তালিকা আসা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৫টি জেলার কাউন্সিলর তালিকা দলীয় অফিসে জমা পড়েছে। বাকি সব জেলার তালিকা আজকের মধ্যে চলে আসবে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা কে কোথার থেকে কাউন্সিলর হবেন সেটা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল যারা রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত আছেন, তারা স্ব স্ব অবস্থান থেকেই কাউন্সিলর হবেন। এর বাহিরে যারা আছেন তারা হয়তো নেত্রীর কো-অপশন কাউন্সিলর থেকে আসতে পারেন।

বাংলাদেশ জার্নাল: সম্মেলনে কো-অপশন কাউন্সিলর কতজন থাকবেন বলে আপনার ধারণা?

মাহবুব-উল আলিম হানিফ: দলীয় সভানেত্রী কতজন কো-অপশন কাউন্সিলর করতে পারেন সেটার নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। তবে সাধারণত নেত্রী যে কয়জনকে প্রয়োজন মনে করেন তারা কো-অপশন কাউন্সিলর হতে পারেন।

বাংলাদেশ জার্নাল ডেস্ক: বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরিরা এবারের সম্মেলনে নেতৃত্বে আসবেন এরকম প্রত্যাশা আপনারা করছেন কিনা?

মাহবুব-উল আলিম হানিফ: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এ দলটির সৃষ্টি হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। এই দলকে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়ে এই দলের নেতৃত্বেই স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর পরবর্তী পর্যায়ে দেশের আজকের যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সবই হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে। ’৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো, তার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। আওয়ামী লীগ অনেকটাই ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিলো। আওয়ামী লীগের মধ্যে সংকট সৃষ্টি হয়েছিলো। ’৮১ সালে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেয়ার পর আবার দলটি ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো। আবার সুসংগঠিত হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশকে আজকে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে নিয়ে এসেছেন এবং ৪ বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছেন। এর মধ্যদিয়ে এটি প্রমাণিত যে বঙ্গবন্ধুর সাথে এবং এই পরিবারের সাথে আত্নার সম্পর্ক। একারণে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সকল স্তরের নেতাকর্মী চায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধু পরিবারের মধ্যে থাকুক। সেই বিবেচনায় আমরা মনে করি, আমাদের সভানেত্রী তার শারীরিক সুস্থতা রেখেও তার বয়সের কারণে আর ১০/১৫ বছর নেতৃত্ব দিতে পারবেন। তারপর দলের কে হাল ধরবেন? সেই বিবেচনায় দেশের অধিকাংশ নেতাকর্মী মনে করেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের এখনই দলের দায়িত্ব নেয়া উচিত, দলের সাথে সম্পৃক্ত করা উচিত। তাহলে সভানেত্রীর শারীরিক সক্ষমতা থাকতে থাকতে আগামী ১০/১৫ বছরে তারা এই দলের পূর্ণ নেতৃত্ব বা তারা দলকে সেইভাবে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। জনগণের প্রত্যাশা শুধু নয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা এবারের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হোক এটা আমাদের সকলের প্রত্যাশা।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত