ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫২ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিঃসঙ্গ বয়স্করা খালি ঘরেই মারা যাচ্ছেন

নিঃসঙ্গ বয়স্করা খালি ঘরেই মারা যাচ্ছেন

জাপানের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশের বয়স ৬৫ বছরের উপর। কেউ বিধবা বা বিপত্নীক, কেউ অবিবাহিত, কেউ বা বিয়েই করেননি। জাপানিরা নতুন সম্পর্কে বরাবরই নিরুৎসাহী। তাই তাদের মৃত্যুর সময় কোনো সঙ্গী থাকে না। এমনকি ৪০–৫০ বছর বয়সে যারা মারা যাচ্ছেন তাদেরও নাকি একই অবস্থা। অর্থাৎ খালি ঘরে মরছেন এবং মৃতদেহ পড়ে থাকছে দিনের পর দিন ।

এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে নিঃসঙ্গ মৃত্যুর হার জাপানেই সব থেকে বেশি। সেজন্যই দেশটিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শবদেহ সরানোর পর ঘর সাফাই কোম্পানিগুলিও। পুলিস দেহ তুলে নিয়ে গেলে, এই পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সেই ঘরের আসবাব, মেঝে, রান্নাঘর, বাথরুম, দেওয়াল সব কিছু পরিষ্কার করেন।

মৃতের ব্যবহৃত পোশাক, বিছানা সব কিছু তুলে নিয়ে যান। যেহেতু বেশিরভাগ সময়ই দীর্ঘ দিন পর দেহ উদ্ধার হয় তাই দেহে ম্যাগটের মতো শবদেহ ভক্ষণকারী মাছি, পোকায় ভরা থাকে ঘরগুলি। সে কারণে কর্মীদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব সুরক্ষা ব্যবস্থাও থাকে। শুধু পরিচ্ছন্ন কোম্পানিই নয়, জাপানে এখন বেশ কিছু বিমা কোম্পানিও বাড়ির মালিকদের এধরনের বিমার সুবিধা দিচ্ছেন। কোনও ভাড়াটে এভাবে মারা গেলে, সেই ঘর সাফাইয়ের খরচ, ভাড়াটের বাকি থাকা ভাড়া এমনকি মৃতের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনার খরচ থাকছে সেই বিমায়।

তবে কাওয়াসাকির বহুতলে একাকী মারা যাওয়া ৫৪ বছরের হিরোয়াকির বাড়ির মালিকের সেভাবে কোনও বিমা করা ছিল না। তাই তিনি নেক্সট নামে একটি সাফাই কোম্পানির সঙ্গে ২,২৫০ মার্কিন ডলারে চুক্তি করেছিলেন। আকিরা ফুজিতার নেতৃত্বে একটি দল গিয়ে ওই ঘর সাফ করে মৃতের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনাও করেন। ফুজিতা বলেন, হিরোয়াকি প্রায় চার মাস আগে মারা গিয়েছেন। কিন্তু যেহেতু তিনি শীতে মারা গিয়েছেন, তাই সেভাবে পোকা ধরেনি, শরীরে। গ্রীষ্মে মারা গেলে আরও খারাপ অবস্থা হত শবের। বহু দিন ভাড়া বাকি পড়ার পর রিয়েল এস্টেটের এজেন্ট গেলে হিরোয়াকির মৃত্যু সম্পর্কে জানতে পারেন।

সূত্র: ইন্টারনেট

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত