জামাই আদর আছে, বউ আদর নেই
শওকত জামান
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:০৯ আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:২৪
পরিবার সংস্কৃতিতে জামাই আদরের অধ্যায় থাকলেও বউ আদর নেই। থাকলেও এক মুহূর্ত বউ বরনকালে। আর জামাই বিয়ের পর থেকে শ্বশুর শাশুড়ি বেঁচে থাকা পর্যন্ত। আহ্ শ্বশুরবাড়ি জামাই এলে কী আদর! মুরগি জবাই করো, খাসির মাথা আনো, মাছের মাথা দাও, গরুর ঠ্যাং আনো আরো কত কি।
জামাই কী খাবে, কী পছন্দ করে, কী খায় না শাশুড়িরা তার সব মুখস্থ রাখে! জামাই শ্বশুরবাড়িতে পা রাখলেই শুরু হয়ে যায় মহায়োজন। শীতকালে জামাই’র জন্য আলাদাভাবে পিঠেপুলির আয়োজনও হয়। শাশুড়ি অসুস্থ থাকলেও, বাসায় সমস্যা থাকলেও সবকিছু ফেলে শাশুড়ি মা জামাই আদরের আপ্যায়নে নেমে যান কোমর বেঁধে।
অথচ এর বিপরীত চিত্র নেই বললেই চলে। রেয়ার দু'একটা কেস মানে হাতে গোনা হয়তবা ১% মেয়ের ভাগ্যে বউআদর জোটে! শ্বশুরবাড়িতে কয়টা মেয়ের পছন্দের দিকে খেয়াল রাখা হয়? কয়জন শাশুড়ি বউ এর পছন্দের খাবার রান্না করেন, কিংবা কয়টা মেয়ের ভাগ্যে এমন শ্বশুরবাড়ি জোটে যেখানে কোন একদিন তার পছন্দের মেনুতে রান্না হয়!
জামাই’র একটু অনাদর হলেই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে তুলকালাম হয় মেয়েটাকে যাচ্ছেতাই অপমান করা হয়, কত কথা শুনতে হয়! অথচ জামাই’র অনাদর হলে, মেয়ের বাপের বাড়ির লোকজন চুপ মেরে যায়... ভয়ে কিছু বলতে পারে না... যদি মেয়ের আরো কোন অসুবিধা হয়!
আজব হলেও সত্যি যে- জামাই’র শাশুড়ি হিসেবে মেয়েরা পারফেক্ট হয় ৯৯%। কিন্তু বউ এর শাশুড়ি হিসেবে এই মেয়েরাই পারফেক্ট হয় না ৯৯%। তবে মেয়েরাই পারে বউ আদর পারিবারিক সংস্কৃতিতে চালু করতে। সেই দিনটি জুটবে কবে বউদের কপালে?
(লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ