ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

এমপিওভুক্তির আশায় ৭৫ হাজার শিক্ষক, সাড়ে ৫ হাজার প্রতিষ্ঠান

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:০৬  
আপডেট :
 ২২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:৩৯

এমপিওভুক্তির আশায় ৭৫ হাজার শিক্ষক, সাড়ে ৫ হাজার প্রতিষ্ঠান
এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনের ফাইল ছবি

স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দান করা জমিতে গড়ে উঠেছে স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসা। স্থানীয় শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শিক্ষক হিসেবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে সামান্য টাকা টিউশন ফি হিসেবে আদায় হয় তা দিয়ে কোনমতে চালানো প্রতিষ্ঠানের আনুসঙ্গিক ব্যয়ভার। কিন্তু শিক্ষকদের বেতন-ভাতা আর হয় না। যদিও বা কোথাও হয়, তার পরিমাণ নিতান্তই যৎসামান্য। তবু তারা শিক্ষাদান চালিয়ে যান এই ভরসায় যে, একদিন প্রতিষ্ঠানটি সরকারের নেক নজরে যাবে, এমপিওভুক্ত হবে। তাদের বেতন-ভাতার অনিশ্চয়তা দূর হবে। কিন্তু বছরের পর বছর চলে যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে এক যুগ, দেড় যুগ বা দুই যুগও চলে যায়। প্রতিষ্ঠান আর এমপিওভুক্ত হয় না। প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ ও যোগ্যতা থাকা সত্বেও সারা দেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা কমপক্ষে ৭ বছর ধরে এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। একই ভাবে ঝুলে আছে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৭৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার ভাগ্য। এমনও আছে, এমপিওভুক্তির আশায় থাকতে থাকতে বয়সের কারণে অনেক শিক্ষক ইতিমধ্যে এই পেশাই ছেড়ে দিয়েছেন।

আরো পড়ুন: এমপিওভুক্তি : পরিকল্পনায় আছে বরাদ্দ নেই

সর্বশেষ ২০১০ সালে সরকার এক হাজার ৬২৪টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে। প্রায় একই সময় এমপিও পায়নি অথচ পাওয়ার যোগ্য এমন পাঁচ হাজার ২৪০টি স্কুল সরকারের তরফ থেকেই চিহ্নিত করা হয়। এসব স্কুলে শিক্ষক ৭৫ হাজার। এই সাত বছরে আরো কয়েকশ’ প্রতিষ্ঠান এমপিও পাবার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এমপিওভুক্ত করতে না পারার কারণ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন অর্থ সংকটের কথা। তবে শিক্ষক সংগঠনগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল ৮ হাজার। আর শিক্ষক ১ লাখ ২০ হাজার। কিন্তু আর্থিক সুবিধা না পাওয়ায় গত সাত বছরে ২ হাজারের মতো স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে।

আরো পড়ুন: এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া

নন-এমপিও শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি এশারাত আলী বলেন, এমপিওভুক্ত হওয়ার জন্য যেসব শর্ত পূরণ করা দরকার তার সবই পূরণ হয়েছে ৫ হাজার ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের। এগুলোর মধ্যে এক যুগেরও বেশি সময় পার করা অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৭৫ হাজারের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারী চরম হতাশায় ভুগছেন। প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনা করছে প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী।

তথ্যমতে, ২০১০ সালে সবশেষ এক হাজার ৬২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে সরকার। এর আগে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম বন্ধ ছিল ছয় বছর। ২০১৩ সাল থেকে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদনের সময় শর্তজুড়ে দেওয়া হচ্ছে যে, এমপিও সুবিধা দাবি করা যাবে না। ২০১১ সালে ১০০০ বিদ্যালয় ও মাদরাসা এমপিওভুক্তি করার ঘোষণা দেওয়া হলেও তা করা হয়নি। তবে ২০১০ সালে এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করার সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

আরো পড়ুন: নীতিমালা না মেনে এমপিওভুক্তি চলছেই

এমপিওভুক্তির নীতিমালা করেও বিগত সরকারগুলো নীতিমালা মানেনি। দেশে ২৭ হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত। জনসংখ্যা বিবেচনা এ সংখ্যা কম নয়। তবে কোথাও কোথাও প্রয়োজনের বেশি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। আবার প্রয়োজন থাকলেও সিলেট বিভাগে কম স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। কম এমপিওভুক্ত করা হয়েছে বরিশাল ও খুলনা বিভাগেও।

আরো পড়ুন: এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে স্থবিরতা ও অস্বচ্ছতা কাম্য নহে

আরো পড়ুন: শিল্পপতির উদ্দ্যোগে বেতন পাচ্ছেন ৪৩৩ শিক্ষক-কর্মচারী

/এসকে/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত