নীতিমালা না মেনে এমপিওভুক্তি চলছেই
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:১৩ আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:৩৬
কয়েক হাজার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো নীতিমালা না মেনে অনুমোদন দেয়া হয়। এ কারণে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকার পরও এমপিওভুক্ত হতে পারেনি অনেক জেলার প্রতিষ্ঠান। প্রায় সব সময়ই রাজনৈতিক বিবেচনায় এমপিওভুক্তি দেওয়া হয়েছে। স্থান নির্বাচনের বেলায় বাস্তব প্রয়োজনের চেয়ে ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছা অনেক ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে। যে কারণে বিগত এক দশকে এমন বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অস্বাভাবিক কম, কোথাও শিক্ষার্থীর সংখ্যা শিক্ষকের চেয়েও কম। অথচ অনেক জায়গায় প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির কবলে পড়ছে। কাছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় দূরের স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ হাজার ৫৯০টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা না করেই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আবার প্রয়োজনীয় স্থানে তিন হাজার ৭০৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সরকারের বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী অনেক আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার ছিল।
আরো পড়ুন: এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই বলা যায় অপ্রয়োজনীয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম। পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলও ভালো নয়। অথচ এমপিওভুক্ত হওয়ার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের পেছনে প্রতিমাসে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।
আরো পড়ুন: শিল্পপতির উদ্দ্যোগে বেতন পাচ্ছেন ৪৩৩ শিক্ষক-কর্মচারী
রাজশাহীর একটি উপজেলায় ২৭টি এমপিওভুক্ত কলেজ রয়েছে। যশোরের ১টি ইউনিয়নে ২টি গার্লস কলেজ রয়েছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, এ ধরনের অপরিকল্পিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কারণে সমন্বিত শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আগে বিবেচনা আনতে হয় প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম অনুযায়ী পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে কিনা।
আরো পড়ুন: এমপিওভুক্তির আশায় ৭৫ হাজার শিক্ষক, সাড়ে ৫ হাজার প্রতিষ্ঠান
আরো পড়ুন: এমপিওভুক্তি : পরিকল্পনায় আছে বরাদ্দ নেই
আরো পড়ুন: এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে স্থবিরতা ও অস্বচ্ছতা কাম্য নহে
/এসকে/