ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

শাখাওয়াত শান্তর তিনটি কবিতা

  শাখাওয়াত শান্ত

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:৫৮

শাখাওয়াত শান্তর তিনটি কবিতা

।। গুরুর তাকওয়া ।।

ম্যালা দিন বাদে সেবা নিলে পিড়া লাগে

সাধুহীন এইসব সঙ্গকে সময়েরও আগে-

করুণার, ধূলিস্যাৎ সাহারর কোনো শুকনা পপি

লাগে, কেমনে যাবো নবীর দিনে, গুরুবীনে না সপী-

যদিনা মনমজিয়ে; কই নাই তুমি- আমি তো কইনা

রশ্মির মতো জাহের আর বাতেনে, জানি অতুলনা।

কলা মূর্তির প্রলোভন নিয়ে কারুকে তুরুক

জিজ্ঞাসা থাকে অধিক, নিজেরই প্রতি- নজরের চেয়ে

গনিতের মহীরুহ হে; আরতির মরক-

চোখের ভিতরের চোরা ডাগরের প্রতি মসিহ নিয়ে

উনুনের ভাষায় কাঁদার ছাফ, মাটিই হবো ঢের

আগুন কাঁদছে, উনুনের ছাই মাটি হয়ে যায় ফের-

নভেরার বারো মোকাম, ফিল্লায় যাইতে লাগে সুকৃতির দোকান; কেযে ডাকে পিছন থেকে প্যাপিলোমা মন দিয়ে রাখি দয়ালের দিকে খাই, দাই নৃত্য করি- তবুও মনের 'দিক' ঢেউয়ের মতোন, রটনা হয়ে যাক আমি গোল্লায় গেছি- তবুও মন দিয়ে রাখি, দয়ালের দিকে অশ্রু আঁখি।

।। আইডিয়া অফ আতাকামা ।।

নথিগ্রন্থি হর্ষক ব্যাঞ্জিত- ক্বেবলার দ্বারস্থ; একা একলা ওয়াইল্ড বৃক্ষের পদ্মাসন, আলো হলে ফলো হয়না ব্যাচূত্যের আড়ম্বর। ধুলা পৃথিবীতে হাওয়া হলে অন্ধকার হতে থাকে মধ্যাহ্ন, নাতিশীতোষ্ণে কশেরুকা তুরীয়বর্ণ, মানে দেহের কর্তাকে হর্তা না দিতে চাওয়ার অনুরণন ; তথা ঋতুকৈবাল্য দুই- বসন্ত মানে? নেই!

সঙ্কলন হচ্ছে জিকিররত ওয়াইল্ড বৃক্ষের নমঃস্থত্ততা

হিট- শীট রকমের, বৃক্ষের গায়ে আগুণ আগুণ মত্ততা।

অর্থাৎ ঋতুকৈবাল্য দুই- হীমরাত্রির তসবিহ, ও আগুনের হাওয়ার মত্ততা- ওয়াইল্ড বৃক্ষটির পদ্মাসন।

।। শূলের মুকুট ।।

একনাগাড়ে একান্নবর্তী শূল মুকুটে রূপ দিয়েছি

যথেচ্ছাচার হলে দীর্ঘকাল বাঁচার পরে মরে যেতে ইচ্ছা

হয়, বৈরাগ্য নেই জেনে কাপালিক কে নোক্তা

ভারী হয়ে আসা মঞ্জুরির দিকে যেতে থাকি

গেলো রাত্রে কৃত নিশ্বাসের চেয়ে অধিক পরিচিত

ছিলো- কৃত্যকর্মার খেলাপ; নিজের বিরুদ্ধে যে

তরবারী, তাকে দেখি আমি আড়ি, আড়ি; বিশাল

রাত্রের পর সকাল হলে, তুতফলের ন্যায়ে ছিটকে

যাচ্ছি ক্রমশ। দীর্ঘদিন বেঁচে আছি মনে হলে পাপেদের

কথা উঠে শক্ত অভেদ্য করে তুলে দাড়াই নিজেরই ছাঁয়া

তলে, চাপাভাষী যেকোনো মাস্তুল পালের আগে ফুটে

উঠে; ঝাউবনে তাই একা হয়ে গেছি একা হয়ে গেছি খুব

গোপন শঙ্কায়, পাথরের ভাষা, শূলের ঘাঁত মুকুট করে

নিয়েছি; বাবলার মতো সহজ হতে চেয়ে, পাতার মতো

উড়ে উড়ে একা হয়ে গেছি একা হয়ে গেছি নিজের হয়ে

গেছি, নিজেকে নিজের করে দিয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত