করোনা চিকিৎসায় আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২০, ১৫:২০ আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২০, ১৫:৪৭
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নতুন ব্লাড-প্লাজমা থেরাপিসহায়ক হতে পারে বলে জানিয়েছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়ান লিপকিন। নতুন এ পদ্ধতি নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী তারা।
বৃহস্পতিবার ফক্সনিউজের ‘লো ববস টুনাইট’ শোতে এসে তিনি এই আশাবাদের কথা তুলে ধরেন।
নিউরোলজি অ্যান্ড প্যাথলজি বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি নতুন উপায় খুঁজে বের করতে গত জানুয়ারিতে তিনি চীন সফর করেন।
সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র পেয়েছেন তিনি। যাতে দেখা গেছে, রোগীরা সফলভাবেই প্লাজমা-থেরাপি চিকিৎসা নিয়েছেন। অর্থাৎ যারা এই থেরাপি নিয়েছেন তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এই সংক্রামক বিশেষজ্ঞ বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, এক ব্যক্তির কাছ থেকে গৃহীত প্লাজমা দিয়ে তিনজন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। এটি রক্তদান করার মতো প্রক্রিয়া নয়। এটি সহজ ও ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত কার্যকর সমাধান হতে চলেছে।
বাংলাদেশ জার্নালে আরো পড়তে পারেন:
> করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আগে যা বললেন চিকিৎসক
> বিদেশী নাগরিকদের সহযোগিতার আশ্বাস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
> করোনাভাইরাস: নাগরিকরা প্রত্যেকে পাবেন ১২ শ ডলার
> গুজবে হবিগঞ্জবাসীর নির্ঘুম রাত
> করোনার সচেতনতায় এমনটা কেউ করেননি আগে
> দেশ লকডাউন হলেও মসজিদ বন্ধ করা যাবে না
> পিপিই ছাড়া চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনা স্থগিত
> করোনা নিয়ে গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা
> লকডাউন: বাড়ি ফিরতে ছেলেকে কাঁধে নিয়ে ২ দিন হাঁটলেন যুবক
> করোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বের ২০০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ৫ লাখ ৩১ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ২৪ হাজার জনের। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে এক লাখ ২২ হাজার মানুষ।
সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইতালিতে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৮২১১। এরপর স্পেনে মারা গেছে ৪৩৬৫ জন। চীনে মারা গেছে ৩২৯১ জন। এ ছাড়া ইরানে মারা গেছে ২২৩৪ জন। ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা ১৬৯৮। যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে ১২৯৬ জন মানুষ।
গত আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যায় এগিয়ে ছিল চীন। দেশটিতে সংক্রমণ থেমে যাওয়ায় ভাইরাসটির নতুন কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় ইউরোপ। ফলে গত কয়েক দিনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি ও স্পেন।
এদিকে আক্রান্তের সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৮৫ হাজার ৬৫৩ জন মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপর ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজার ৭৮২ জন। স্পেনে ৫৭ হাজার ৭৮৬ জন মানুষকে আক্রান্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও ইউরোপে আক্রান্তের কমে এসেছে। তবে আমেরিকায় সে সংখ্যা বাড়ছে। তাই অঞ্চলটি করোনার নতুন উপকেন্দ্র হয়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে
আরো পড়ুন:
> বিমানের দুটি ছাড়া সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ
> ঢাকার রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ, সাথে সেনাবাহিনী
> স্পেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
> করোনা একটি যুদ্ধ, আমাদের জিততে হবে
> করোনায় চিকিৎসক যুগলের অন্যন্য দৃষ্টান্ত
> করোনাভাইরাস: বাড়িতে যা করবেন
> হ্যান্ডওয়াশ মাস্ক দিচ্ছে সেনাবাহিনী
> কোনো ধরনের জনসমাগম নয়: প্রধানমন্ত্রী
> করোনায় প্রাথমিকে ‘বার্তা’ পাঠাবে মন্ত্রণালয়
> করোনাভাইরাসকে ‘ধন্যবাদ’, বিপাকে বিদ্যা বালান